বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা পরীমনি। কিছু দিন আগে এই জনপ্রিয় নায়িকা মাদক কান্ডে গ্রেফতার হয়ে ছিলেন। এবং বেশ কয়েকদিন কারাগারে বন্ধি ছিলেন। এখন তিনি জামিনে রয়েছেন এবং নতুন সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে জমকালো ভাবে নিজের জন্মদিন পালন করেছেন। এই সময়ে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের উদ্দেশে একটি বার্তা দিলেন এই জনপ্রিয় নায়িকা।
অনেকেই ভেবেছিলেন, জীবনের ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে, এবার হয়তো জন্মদিনের আয়োজনটা অত জমকালো করবেন না। তাদের ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করলেন পরীমনি। জন্মদিনটাকে এবার যেন আরও বেশি জমকালোভাবে উদ্যাপন করলেন মনের খুশিতে চলা এই নায়িকা। ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে গতকাল রাতে পরিচিতজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও কাছের সব মানুষদের নিয়ে নেচে–গেয়ে জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন তিনি। কেটেছেন কেক। এ বছর ২৯ শেষ করে ৩০–এ পা রাখলেন পরীমনি। এবারের জন্মদিনের বিমানের কেবিন ক্রু সেজেছিলেন পরীমনি। পাঁচতারকা হোটেলের মিলনায়তনটাকেও করে তুলেছিলেন উড়োজাহাজের অন্দরমহল। আমন্ত্রিত অতিথিদের আগেই সরবরাহ করা হয়েছিল ‘বোর্ডিং পাস’। অতিথিদের প্রবেশের পর কেবিন ক্রুর সাজে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসেন পরীমনি। শুধু সাজসজ্জাই নয়, বিশেষ কায়দায় বানানো স্কার্টকে লুঙ্গিতে রূপান্তর করে নেচেছেনও তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘এখানে আপনাদের দাওয়াত শুধু আমার জন্মদিনের পার্টির জন্য; নিউজের জন্য নয়। পরীমনির নিউজের আর দরকার নেই। আপনারা এসেছেন এতেই আমি আপ্লুত।’ অভিনয়জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে প্রতিটি জন্মদিনে নানা শামসুল হক গাজীকে সঙ্গে নিয়েই কেক কাটেন পরীমনি। ৩০তম জন্মদিনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ২৩ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিটে বাসাতেও নানাকে নিয়েই কেক কাটেন তিনি। রাতের প্রথম প্রহরের এ উৎসবে কয়েকজন কাছের মানুষ ছাড়াও হাজির ছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। হোটেলের জন্মদিনের আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী, রাশিদ পলাশ, অভিনেতা শরিফুল রাজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে রুপালী পর্দায় যাত্রা শুরু করেছেন পরীমনি। এরপর তিনি প্রায় ১৯টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে বেশ প্রসংশিত হয়েছে। এমনকি স্বল্প সময়ে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছেন।