বাংলাদেশ পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ এখনো অবস্থান করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। জাতিসংঘের অনুষ্ঠান এ অংশ নেয়ার জন্য তিনি গেল ৪ তারিখ দেশটিতে পারি জমান। সেখানে বসে তিনি বেশ কিছু দলীয় সমাবেশ এ যোগদান ও করেছেন। আর এ নিয়েই এখন নতুন করে শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা।
জাতিসংঘের পুলিশ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত বাংলাদেশ পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদের একটি সমাবেশে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য লঙ্ঘনের বিষয়ে জনসম্মুখে কোনো মন্তব্য করেননা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো প্রকার লেনদেনে জড়িত হতে পারবেননা।
চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আইজিপি বেনজীরের সমাবেশে যোগ দেয়ায় শর্ত লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি ফলোআপ প্রশ্নের লিখিত জবাবে জাস্ট নিউজকে এ কথা জানান স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র।
এর আগে গত মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, সমাবেশে বাংলাদেশের পুলিশ প্রধানের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি অবগত নন। একজন মুখপাত্র পরে লিখিত প্রশ্নের জবাবে দেশটির অবস্থান স্পষ্ট করেন।
“আমরা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন বা লাইসেন্সের আবেদনের বিষয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করি না। যাইহোক,তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তির সঙ্গে অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল এর অনুমতি ছাড়া অথবা তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ব্যতিত কোনোপ্রকার লেনদেন করতে পারবেনা। ”
গত ১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের পুলিশ সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি কুইন্সের গুলশান টেরেসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের আয়োজিত রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেন আইজিপি বেনজির। এরপর থেকেই ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের বিষয়টি আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য,গেল বছরের ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে বাংলদেশের বেশ কয়েকজনকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে মার্কিন যুক্ত্ররাষ্ট্র। আর এই তালিকায় উপরে ছিল আইজিপি বেনজির আহমেদের নাম।