যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে গতকাল লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী বিমানের যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এসময় যাত্রীদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী। সেই সাময় তাদের সাথে তিনি কিছু ছবিও তোলেন। এবার এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক সুলতান মির্জা। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
পৃথিবীর উন্নত থেকে হত দরিদ্র দেশ গুলোর মধ্যে এমন একটা দেশ ও খুজে পাবেন না, যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধান সাধারন যাত্রীদের সাথে বিমান ভ্রমন করেন। ইহা খুব ইন্টারেষ্টিং।
গতকালকে একজন কে বলতেছিলাম কথা গুলো। অত:পর সে জানতে চাইলো, নিউইয়র্কে তো বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নাই, সেখানে প্রধানমন্ত্রী যায় কিভাবে?
উত্তরে বলতেছিলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিমান চাটার্ড হয় না, তা নয়। তবে বিমানের রুট আছে এমন দেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী সাধারন যাত্রীদের সাথেই বিমানে করে চলে যায়। তবে ব্যাতিক্রম হয় বিমানের রুট চালু নেই ঐইসব দেশ ভ্রমনে, যেমন বিমানের টরেন্টো রুট চালু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা টু লন্ডন সাধারন যাত্রীদের সাথে যেতেন, তারপরে লন্ডন টু টরেন্টো চাটার্ড করে যেতেন। এখন টরেন্টো সফরে গেলে আর চাটার্ড করা লাগে না, সরাসরি যাত্রীদের সাথেই চলে যায়। সেইম নিউইয়র্কের ক্ষেত্রে। ঢাকা টু লন্ডন যাত্রীবাহী বিমানে, অত:পর লন্ডন টু নিউইয়র্ক বিমানের চাটার্ড ফ্লাইটে।
যেখানে উন্নত দেশের সকল এবং পৃথিবীর অনেক দরিদ্র দেশের সরকার প্রধানের বিদেশ ভ্রমনের জন্য নিজেদের বিমান থাকে, সেখানে সুযোগ থাকার পরেও প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য বিমান না কিনে সাধারন যাত্রীদের সাথে ভ্রমন, বিএনপি জামাতি ছাড়া সবাইকে গর্বিত করে বলেই বিশ্বাস করি।