মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ গোড়া যেন ট্রেন্ড এ পরিনিত হয়েছে বাংলাদেশী অর্থশালীদের। আর এই তালিকা এখন হচ্ছে আরো বেশি দীর্ঘ। সম্প্রতি এই তালিকায় নাম উঠেছে বাংলাদেশের এক সংসদ সদস্যের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়ার (রোজ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়ি ও মানি লন্ডারিং মামলার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন বলেন, গোলাপটি পচে গেছে। আওয়ামী লীগে থাকার অধিকার তার নেই।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আবদুস সোবহান গোলাপ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে বেঈমান। তার আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কোনো অধিকার নেই।
অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট, বা ওসিসিআরপি , অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক, তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া (রোজ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি এ কথা উল্লেখ করেননি।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোঃ আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে প্রথম অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। সে বছর তিনি নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে একটি উচ্চ ভবনে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন। পরবর্তী পাঁচ বছরে, তিনি নিউইয়র্কে মোট 9টি সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)।
মোঃ আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তিনি কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পান। দলের কমিটি। তিনি দলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদকও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশের বেশ কিছু বেসরকারি মিডিয়া গোলাপের এই সম্পদের পরিমান প্রকাশ করে শুরুতে। এরপর থেকে সারা দেশে এ নিয়ে তৈরী হয় তোলপাড়। আর এ নিয়ে এখনো চলছে বেশ আলোচনা সমালোচনা।