নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস আর নেই (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)।
বুধবার সকাল ৭টা ২২ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ/ত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
আবদুল কুদ্দুসের ব্যক্তিগত সহকারী ইব্রাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শ্বাসকষ্টের কারণে শনিবার সন্ধ্যায় সংসদ সদস্য আবদুল কুদ্দুসকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
আবদুল কুদ্দুস ১৯৪৬ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাটোর-৪ আসন থেকে পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সপ্তম সংসদে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আবদুল কুদ্দুসের পৈতৃক বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিলের বিলসা গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি ও বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডি/গ্রি অর্জন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিব ভারতে প্রশিক্ষণ নেন এবং সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের মৃ/ত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃ/ত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক এমপি আবুল কাশেম সরকার। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।