Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / না দেখালে দেওয়া হচ্ছে না ভিতরে যেতে, এভাবেই বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে গেলেন অনেকে

না দেখালে দেওয়া হচ্ছে না ভিতরে যেতে, এভাবেই বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে গেলেন অনেকে

বিয়ে বাড়ি যাবার কথা শুনলেই কেনো যেনো আনন্দ অনুভূত হয় মনের মাঝে। বিয়ে বাড়িতে যাবার আগে নিতে হয় প্রস্তুতি। বিয়ে বাড়িতে অনেক মানুষ সমাবেত হয় সুতরাং সেখানে যেমন তেমন পোশকা পড়ে যাওয়া আসলে কখনই মানায় না। বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে হলে সাথে করে নিয়ে যেতে হয় উপহার। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেল বিয়ের খাবার খেতে দেখাতে হচ্ছে আইডি কার্ড, না খেয়ে ফিরল বহু অতিথি।

বিয়ে বাড়ির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আয়োজন ও ভালো খাবার। আর বিয়ের আয়োজন কতটা ভালো, তা অনেকাংশে নির্ভর করে বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার ওপর। এছাড়া বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের যথাসম্ভব আপ্যায়ন করা অনেক পুরনো রীতি। ইদানীং সেই রীতি অনুযায়ী বিয়ে বাড়িতে দল বেঁধে খেতে যান অতিথিরা। তবে সেখানে খাবার না পেয়ে ফেরার স্বপ্নও দেখতে পারেননি অনেকে। কনের পরিবারের ব্যতিক্রমী আচরণের কারণে অনেক অতিথিকে না খেয়েই ফিরতে হয়েছে।

মূলত বিয়ের খাবার খেতেই এক অদ্ভুত শর্ত দিল কনের পরিবার। তাদের শর্ত অনুযায়ী বিয়ের খাবার খেতে হলে অবশ্যই আইডি কার্ড থাকতে হবে। আর এই শর্ত দিয়েও অনেক অতিথি ভোজসভায় ঢুকতে পারেননি। অনেককেই খালি পেটে ফিরে যেতে হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলায়। গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অতিথিদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিয়ে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

এছাড়া ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিয়েতে যতজন আমন্ত্রিত অতিথি এসেছেন তার চেয়ে বেশি অতিথি অনুষ্ঠানের দিন এসেছেন। এতে করে খাবার আগেই শেষ হয়ে যায়। এতে করে খাবারের ঘাটতি দেখা দেয়। অতিথিদের আটকাতে তারা আধার কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে। আর যাদের আধার কার্ড ছিল না, তারা না খেয়েই ফিরে গেছে। গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার হাসনাপুরে ২১শে সেপ্টেম্বর একযোগে দুটি বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। একটি বিয়ে বাড়িতে যখন বর-কনেকে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল, তখন অন্য বিয়ে বাড়ির অতিথিরাও সেখানে আসেন। তারাও বসে বসে খাবার খেতে থাকে।

আর এসময় কনের পরিবার কিছুতেই বুঝতে পারছিল না, কারা আসলে তাদের অতিথি। এতে বেঁধে যায় গোল। খাবার শেষ হয়ে যায়। মন খারাপ হয়ে যায় কনের পরিবারের। বাধ্য হয়ে অতিথিদের প্রবেশ বন্ধ করতে আধার কার্ড দেখানোর শর্ত দেন। জানিয়ে দেন, ওই পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। যদিও প্রকৃত অনেক অতিথি তাদের আধার কার্ড ছাড়াই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এবং কনের পরিবারের দেওয়া শর্তকে তারা অপমান হিসাবে আখ্যা দেন। এতে না খেয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন অনেকে। ক্ষুব্ধ অতিথিদের অভিযোগ, আধার কার্ড আনতে হবে নিমন্ত্রণের সময় জানানো হয়নি কেন? কে বিয়েবাড়িতে আধার কার্ড নিয়ে আসেন? বেশ কয়েকজন অতিথি এমন শর্তকে অপমান বলে ব্যাখ্যা করে না খেয়েই বিয়েবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আবার অনেকের বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় তারা ফের বাড়ি গিয়ে আধার কার্ড নিয়ে আসেন।

প্রসঙ্গত, বিয়ের অনুষ্ঠানে সাধারণত হরেক রকমের মজাদার খাবারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই অন্যরকম একটি মজা ও আনন্দ। অনেক সময় দেখা যায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যতজন মানুষকে নিমন্ত্রণ জানানো হয় তার থেকে বেশি মানুষ হাজির হয়ে যায় ফলে পরতে হয় বড় ধরণের বিপদে। তাই এই বিয়ের অনুষ্ঠানে আইডি কার্ড দেখাতে হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেকেই ফিরলো না খেয়ে।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *