গত ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপি এবং পুলিশের সাথে সংঘ”র্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের সময় গুলিতে প্রাণ হারান শাওন প্রধান নামের ২১ বছর বয়সী এক যুবক। এই ঘটনার পর প্রয়াতের বড় ভাই মিলন প্রধাণ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের শাওন নিথর হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে নিহত শাওনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ নবীনগর বাজারে শাওনের বাড়িতে যান তিনি। এ সময় প্রয়াতের পরিবারকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই নৃ’শং/স হ”/ত্যাকাণ্ডের বিচার আল্লাহ করবেন। আমরা আপনার সাথে আছে.
মির্জা ফখরুল বলেন, যুবদল কর্মী শাওনকে হ”/ত্যা করে পুলিশ মিথ্যাচার করছে। শাওনকে হ’/’ত্যা করা শুধু একজন ব্যক্তিকে হ’/ত্যা নয়, একটি আদর্শ ও গণতন্ত্রকে হ’/ত্যা করা। সরকার খু”/ন-গুম করে এবং মিথ্যাচার করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমাতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল হাসান প্রমুখ। বর্তমান .
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘ”র্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার সময় হঠাৎ করেই আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা অনেকে বৃষ্টির মতো করে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ সে সময় বাধ্য হয়ে আন্দোলনরতদের ওপর গু”লি এবং টিয়ারশেল ছোড়ে। সেই সময় একটি গুলি এসে লাগে শাওনের শরীরে। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান শাওন আর নেই বেঁচে নেই।