মুরাদ হাসান বর্তমান সবথেকে আলোচিত নাম গণমাধ্যমে। একের পর এক অশালীন ভাষা কুকর্মের জের ধরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলো তাকে। হারাতে হারাতে প্রায় সবকিছুই হারিয়ে গেছে তার। কথায় আছে ‘পাপে ছাড়ে না বাপকেও’। এবার বেরিয়ে গেল তার বিষয়ে আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজ ঘরেও জায়গা হল না মুরাদের।
ডা. মুরাদ হাসানকে এবার তার নির্বাচনী এলাকা সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডা. মুরাদের জন্ম ও নির্বাচনী এলাকা সরিষাবাড়ী হওয়ায় তিনি এটিকে নিজের ‘ঘর’ বলে পরিচয় দিতেন। তাই তার ‘রাজনৈতিক আঁতুড় ঘর’ থেকে বহিষ্কার করা হলো তাকে।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, ডা. মুরাদকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে চূড়ান্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি এ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট, অগঠনতান্ত্রিক ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে মুরাদ হাসানের অব্যাহতিপত্র এবং বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্য়নির্বাহী কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে ডা. মুরাদ হাসান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করলে মঙ্গলবার বিকেলে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মুরাদ হাসান জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে ১৯৭৪ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এখন আলোচনার বিষয় তাহলে কি এবার মুরাদ সংসদ সদস্য থেকে বাদ পড়বে। হ্যাঁ এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে যদি তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করে। মামলা অবশ্য করা হয়েছে। এখনো অপেক্ষা সংসদ ভবনে স্পিকারের তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেই। এবার হয়তো দেশটাও তাকে আর মেনে নিবে না। তাহলে থাকবেন কোথায় মুরাদ? অপেক্ষা উত্তরের আশায়। হয়তো সময় বলে দেবে তার গন্তব্য।