ঢাকাই চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের এই অভিনেত্রী একা। সে সময় জনপ্রিয় নায়কদের বিপরীতে কাজ করে আলোচিত হন তিনি। কিন্তু নায়ক মান্নার পরলোক গমনের পর তিনি চলচ্চিত্র ছেড়ে দেন। বিগত বেশ কয়েক মাস আগে মাদক ও নি/ র্যা’তনের অভিযোগে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি তুলে, টি’কটিক করে লাইভে নিজের অবস্থান জানানদিয়েছিলেন এই নায়িকা। তবে ফের নতুন করে জালে আটকা পড়লেন এই নায়িকা।
গৃহকর্মী নি/ র্যা/ তনের মামলায় অভিনেত্রী সাইমন হাসান একারের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ওই দিন মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত থাকায় মামলাটি স্থানান্তর করা হয় বলে জানান হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসএম মনিরুজ্জামান।
গত বছরের ৩১ জুলাই এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২৪ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ ফয়সাল। এর আগেও ইকার বিরুদ্ধে মা/ দ ‘ক মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছিল পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। দুটি মামলায় তিনি একাই জামিনে আছেন। গত বছরের ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, হাজেরা বেগম নামের ওই গৃহকর্মী গত তিন মাস ধরে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে কাজ করছিলেন। কাজ শেষে গত বছরের ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এরপর তাকে একা বলে, আমি আর তোমার সঙ্গে কাজ করব না বলে হাজেরা বেগমকে গলা ধরে ধাক্কা দেয়। হাজেরা বেগমকে এলোপাতাড়ি পি/ ‘টিয়ে রান্নাঘর থেকে লা/ ঠি দিয়ে মাথায় আ / ঘাত করে। হাজেরা বেগম হাত দিয়ে বাধা দিতে গেলে তার বাম হাতে আ/ ঘাত লাগে। ভিকটিম চিৎকার করলে সে একা মুখ চেপে বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায়।
এ ঘটনায় হ/ ত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। এসময় পুলিশ হাজেরা বেগমকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার বাড়িতে একাই অভিযান চালায়। তার কাছ থেকে সিঙ্গেল বেড রুমের খাট থেকে ৫ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৫৫০ মিলি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মা/ দক/ দ্রব্য আইনে মামলাও হয়েছে।
একার আটক হওয়ার পর অনেক নেটিজেনরাও লিখেছেন, আমরা এটাকে এভাবে দেখার কথা ভাবতেও পারি না। ‘ আরেকজন লিখেছেন, ‘একার পরিণতি কেন? ‘ তবে সেভাবে উত্তর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় থাকতেন উলনে।