আ.জে.এম. নাসির উদ্দিন ( Nasir Uddin ) বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ক্ষমতাসীন দলের একজন রাজনীতিবীদ। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ( Bangladesh Cricket Board ) সহ-সভাপতি। এছাড়াও নাসির উদ্দিন ( Nasir Uddin ) চট্রগ্রামের ( Chittagong ) মেয়র হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিএনপিকে ( BNP ) ধ্বংস করা শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জে.এম. নাসির উদ্দিন ( Nasir Uddin ) বলেন, জিয়াউর রহমান ( Ziaur Rahman ) ও বিএনপি বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশ কাণ্ডের মূল সূতিকাগার। তারা আবারও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।
তিনি আরো বলেন, তারা প্রাণনাশের রাজনীতি চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ( Sheikh Hasina ) ১৯ বার প্রাণনাশের ব্যর্থতার পর এবার আবারও ৭৫-এর হাতিয়ারের গর্জন ডেকেছেন তিনি। এর বিরুদ্ধে একমাত্র উত্তর হল ‘৭১-এর হাতিয়ার আবারও গর্জন করা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। শেখ হাসিনার একক আদেশের অপেক্ষায়। বিএনপি ধ্বংস হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
শনিবার (৪ জুন ( June )) বিকেলে ( afternoon ) জেলা পরিষদ চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নেই। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য এই দেশকে পাকিস্তান বানানো। যারা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে প্রাণনাশ করে পাকিস্তান বানাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা আবার ‘৭৫-এর হাতিয়ারকে জেগে উঠতে বলছে। তাদের নিশ্চিহ্ন করা ছাড়া আমাদের আর কোনো সুরক্ষা নেই।
সমাবেশের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু বিএনপি প্রাণনাশ করে ক্ষমতা বাড়িয়েছে। তারা এখনো হত্যার হু/মকি দিচ্ছে। এই প্রাণনাশের প্রতিশোধ শুধু প্রাণনাশের মাধ্যমেই হতে পারে। কিন্তু আমরা সে পথে যেতে চাই না। শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে চলব। আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। কিন্তু আমি চাই না সেনানিবাসে কোনো পাপী দলের জন্ম হোক। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্রন্দল থাকবে আর এই বিষয়টি নতুন কিছু না। তারা একে অন্যের সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের আলোচনা ও সমালোচনা করে থাকে। এমন সময়ে উঠে আসে অনেক বিষয়। যাই হোক নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে এমনটাই কামনা সাধারণ জনগনের।