বর্তমান সময়ের সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন এবং ক্রিকেটার নাসিরের সাবেক প্রেমিকা মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ হুমায়রা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাদের বিয়ের এক মাস না পেরোতেই বিবাহ বিচ্ছেদের খবর বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দুজনের সংসার শুরু করার আগেই শেষ হতে চলেছে। এদিকে গায়ক ইলিয়াস জানিয়েছেন, তিনি সুবাহর বৈবাহিক সম্পর্ক চুকিয়ে তার সাথে বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন এবং তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী কারিণ এর সাথে পুনরায় সংসার জীবন শুরু করবেন। এদিকে তাদের পারিবারিক দেখাশুনার মাধ্যমে বিয়ে হলেও পরস্পর পরস্পরের দিকে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস বলেন, ‘আমি কেন, দুনিয়ার কেউ ওর (সুবাহ) সঙ্গে সংসার করতে পারবে না। ওর সাথে বিয়ে না হওয়াতে নাসির অনেক ভাগ্যবান। অল্প কয়েকদিনে যা দেখলাম, তা বলার বাহিরে। আমার নামে যাতে বদনাম করতে না পারে, সেই জন্য বিয়ে করেছি। কেউ যাতে কোনো ধরনের বদনাম না দিতে পারে। আমি সুবাহকে ডির্ভোস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কারিনের সঙ্গেই থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুবাহ আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। ও (সুবাহ) ভালো করেই জানত, আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে দূরত্ব চলছিল। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। যেটা আমি বুঝতে পারিনি। বিয়ে না করলে আমার মানসম্মান, ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়ার হু’মকিও দিয়েছে। সুবাহ বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্নভাবে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতেছিল। মানসম্মানের কথা চিন্তা করে এতদিন চুপ ছিলাম। কয়েকদিন ধরে একের পর এক আপ’ত্তিকার ঘটনা ঘটছে, যা আমার জন্য বিব্রতকর। পরে ভেবে দেখলাম, সত্যটা সবার জানা উচিত। আর তাই মুখ খুলতে বাধ্য হলাম।’
এই গায়কের ভাষ্য, সুবাহর সঙ্গে আমার আড়াই বছরের পরিচয়। তবে বেশি কাছাকাছি আসা হয় আড়াই মাস হবে। বন্ধু হিসেবে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করেছিলাম। তবে বুঝতে পারিনি আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে ফাঁসাবে। বিয়ে তো আমি করতে চাইনি। জোর করে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন হুম’কি দিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না।’
দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স প্রসঙ্গে ইলিয়াস জানান, ‘আমাদের ডির্ভোস হয়নি। ডির্ভোস দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে সুবাহ। কারিন আমার স্ত্রী৷ মাঝে কারিনের সঙ্গে কয়েক মাস আমার যোগাযোগ ছিল না। আর সেই সুযোগটা সুবাহ নিয়েছে।
সুবাহ আমাকে নানাভাবে ফাঁসাতে চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে আমি তাকে কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে কারিনকে কাগজে স্বাক্ষর করতে মানা করি। কারিনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া নিয়ে সময় চেয়েছিল। সুবাহকে সেই সময় বলা হয়েছিল, বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হওয়ার পর এক বছর সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তাদের বিয়ের বিষয়টি সকলের সামনে আনবে। এতদিন গোপন রাখা হবে। কিন্তু সে কথা না রেখে সুবাহ বিয়ের ১০ দিন পার না হতেই আমাদের বিয়ের ছবি প্রকাশ করে দেয় সে। আড়াল থেকেই আমার ছবি তুলে নেয়, তাছাড়া সুবাহ আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তোলা কিছু ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করে আমাকে সব সময় ব্ল্যাকমেল করে চলেছে। সে জানায় যদি তাকে বিয়ে না করি তাহলে এগুলো মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে। এমনভাবে আমাকে হুমকি প্রদান করে। সেই কারণে তাকে আমি বিয়ে করতে বাধ্য হই।