নাটোরে তালাবদ্ধ ঘরে এক নারীসহ বিএনপি নেতাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর চাঁদপুর মহল্লায় সোহেল রানা নামে যুবদল কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই বিএনপি নেতার নাম দাউদার মাহমুদ। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব। তার সাথে থাকা মহিলা স্থানীয় একটি ক্লিনিকের নার্স বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে যুবদল-ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী, বিএনপি নেতার অনুসারীরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।
তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদের দাবি, নির্বাচনের আগে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। দাউদার মাহমুদ গত সংসদ নির্বাচনে সিংড়া আসন থেকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, সরকারপাড়া মহল্লার যুবক সুমন হোসেন ও ওই নারীর ভাই বাইরে থেকে তালাবদ্ধ যুবদল কর্মী সোহেল রানার ভাড়া বাসা থেকে দাউদার মাহমুদকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ খবর পেয়ে ছাত্রদল কর্মী নিশানের নেতৃত্বে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করে।
এ সময় বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদের ভাই ও সুমনের হাতাহাতি হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সিংড়া পৌরসভার সরকারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সুমন হোসেন জানান,তিনি কোর্ট মাঠে জিম করছিলেন। এ সময় ওই নারীর যাওয়া দেখে তার সন্দেহ হয়। পরে রিকশাচালকের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নারী সোহেলের বাড়িতে প্রবেশ করেছে। বাড়িটি বাইরে থেকে তালা দেওয়ায় তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি ওই নারীর ভাইকে ডেকে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি আরো বলেন, তাদের আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এসময় যুবদল নেতা সোহেল জানান, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুই থেকে তিনজন ছেলে দাউদার মাহমুদকে জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় তিনিসহ কয়েকজন দাউদার মাহমুদকে উদ্ধার করেন।
ওই পাড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদ। এ সময় কয়েকজন নেশাগ্রস্ত যুবক তাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যেতে চায়। সংঘর্ষ ও ধাক্কাধাক্কি হলে লোকজন জড়ো হয়। পরে আমি ছাত্রদল-যুবাদলের নেতা-কর্মীদের জানালে তারা আমাকে উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি।