নাটোরের সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদকে তালাবদ্ধ কক্ষে এক নারীসহ আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের চাঁদপুর মহল্লার সোহেল রানা নামে এক যুবদল কর্মীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে যুবদল-ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী, বিএনপি নেতার অনুসারীরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।
দাউদার মাহমুদ গত সংসদ নির্বাচনে সিংড়া আসন থেকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন। তার সাথে থাকা মহিলা স্থানীয় একটি ক্লিনিকের নার্স বলে জানা গেছে।
তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদের দাবি, নির্বাচনের আগে তিনি ষ/ড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
জানা যায়, সরকারপাড়া মহল্লার যুবক সুমন হোসেন ও ওই নারীর ভাই দাউদার মাহমুদকে বাইরে থেকে তালা দেওয়া যুবদলের কর্মী সোহেল রানার ভাড়া বাসা থেকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ খবর পেয়ে ছাত্রদল কর্মী নিশানের নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ওই বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করে।
এ সময় বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদের ভাই ও সুমনের হাতাহাতি হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সরকারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সুমন হোসেন জানান, তিনি কোর্ট মাঠে জিম করছিলেন। এ সময় মহিলার যাওয়া তাকে দেখে সন্দেহ হয় তার। পরে রিকশাচালকের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নারী সোহেলের বাড়িতে প্রবেশ করেছে। বাড়িটি বাইরে থেকে তালা দেওয়ায় তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি ওই নারীর ভাইকে ডেকে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি আরো বলেন, তাদের আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে।
তবে যুবদল নেতা সোহেল জানান, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দাউদার মাহমুদকে ১০-১২ জন ছেলে জোর করে তার বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করে। এ সময় তিনিসহ কয়েকজন দাউদার মাহমুদকে উদ্ধার করেন।
ওই পাড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদ। এ সময় কয়েকজন নেশাগ্রস্ত যুবক তাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যেতে চায়। এ নিয়ে মা/রামারি ও ধাক্কাধাক্কি হলে মানুষ জমে যায়। পরে আমি ছাত্রদল-যুবাদলের নেতাকর্মীদের জানালে তারা আমাকে উদ্ধার করে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে থানায় লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ করা হয়নি।