বুধবার ( Wednesday ) ২৩শে মার্চ ( March ) সকালে ( morning ) হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ বিক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি আব্দুল জলিলের হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। টাকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে ব্যাংকে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাসপাতালের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন আব্দুল জলিল। নার্সরা ডা. সাইফুর রহমানকে ঘটনার দিন সকালে ( morning ) নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনার সময় প্রণোদনার টাকা না পাওয়ায় পরিচালককে অবরুদ্ধ করেছেন নার্সরা। বুধবার ( Wednesday ) (২৩ মার্চ ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলামকে তার নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন নার্সরা। ঘণ্টাখানেক পর তারা প্রণোদনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবরোধ তুলে নেয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও কর্মকর্তাসহ সবার জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ওই টাকা থেকে এক কোটি টাকা তুলে নেয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানতে পেরে নার্সরা ক্ষুব্ধ হয়ে পরিচালককে অবরুদ্ধ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা মহামারীর সময় যেসব নার্স কাজ করেছেন তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার কথা ছিল। এই প্রণোদনার টাকা না পেয়ে তারা হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে। পরে টাকা দেওয়ার আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন তিনি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো: সাইফুর রহমান বলেন, টাকা পাওয়ার পর আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। ওই কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে এজি অফিসে ( AG’ office ) পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে জানানো হয় প্রয়োজনীয় টাকা নেই। এই খবরের প্রতিবাদ করেছেন কয়েকজন কর্মী। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। স্বাধীনতা মেডিকেল কাউন্সিলের ( Independence Medical Council ) সভাপতি মো. আব্দুল জলিল ( Md. Abdul Jalil ) বলেন, বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে ১০ দিনের সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা পরে কাজে ফিরে যায়।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকার তহবিলের বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু সেই টাকা যথাসময়ে সবাইকে বিতরন না করার জন্য তহবিলের টাকাগুলো ফেরত চলে যায়। এ অবস্থার জন্য হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে ( Md. Saifur Rahman ) দায়ী করেছেন হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ড বয় ও কর্মচারীরা। ফলে তারা পরিচালকে নিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা পরিচালকের কার্যালয় অবরোধ করে। এ সময় ৫০০ শয্যার হাসপাতালে রোগী সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।