জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( Jahangirnagar University ) (জাবি ( Xabi )) মেডিকেল সেন্টারের এক নার্স উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের কাছে লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার ( Saturday ) (৪ জুলাই ( July )) সকাল ৯টার ( 9 o’clock morning ) দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি। এদিকে ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা প্রায় তিন ঘণ্টা চিকিৎসা কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল।
জাবি ( Xabi ) মেডিকেল সেন্টারের এক নার্সকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন তার বিভাগের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম মো. মামুনুর রশীদ। ( Md. Mamunur Rashid. ) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার সায়েন্সেস ( Molecular Sciences ) বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের ছাত্র। সে শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক ছাত্র। নির্যাতিতার জাবি ( Xabi ) মেডিকেল সেন্টারের নার্স বলেন, আজ সকাল ৯টার ( 9 o’clock morning ) দিকে এক ছাত্র জলাতঙ্কের টিকা নিতে আসে। ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় সে আমার স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। প্রথমে ভেবেছিলাম অজ্ঞান হয়ে গেছে। কিন্তু ভ্যাকসিন দেওয়ার পর, সে অজ্ঞান হয়ে গেছে। অভিযুক্ত ছাত্রটি আবার আমার কক্ষে এসে আমার শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। পরে আমি চিৎকার করে পাশে থাকা ডাক্তারকে ও আমার সহকর্মীদের ডেকে পাঠাই, তারা এসে ছাত্রটিকে সঙ্গে সঙ্গে হেফাজতে নিয়ে যায়। এদিকে অভিযুক্ত ছাত্র অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি ইচ্ছা করেই এটা করেছি।
অভিযুক্ত ছাত্র বিভাগের শিক্ষকদের দাবি, মামুনুর রশীদ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোর্শেদ বলেন, আমি জানি ছেলেটি বেশ শান্ত। তবে আমরা যতদূর জানি তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। আমরা তার পরিবারকে বলেছি, পরিবারের সদস্যরা ক্যাম্পাসে আসছেন। আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। এদিকে ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, যে কোনো প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে, অন্যথায় রোববার (৫ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করব। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা শামসুর রহমান বলেন, আমরা মেডিকেল সেন্টার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি, আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। শিক্ষার্থীও অভিযোগ স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, জাবির আলোচিত এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সংগঠন বিক্ষোভ করেছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা জাবির মেডিকেলে তালাবদ্ধ করে রাখে। কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ্য থেকে দাবি জানানো হয় যে, অভিযুক্ত ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে আর তানাহলে আগামীকাল সকাল থেকে উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা প্রতিবাদ কর্মসুচি গ্রহন করা হবে। তবে অভিযুক্ত জাবির এই ছাত্রের শিক্ষার্থী, সহপাঠি, তার পরিবারের লোকজনসহ সবাইর দাবি উল্লেখিত ছাত্র একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দাবি সে এই ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটিয়েছে।