টলিউডের বর্তমান শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন মিমি চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভারতের বাংলা সিনেমায় কাজ করে যাচ্ছেন বেশ সফলতার সাথে। শুধু একজন অভিনেত্রী হিসেবে নয় দেশের সব ধরনের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকেন তিনি।
এ দিকে ভারতের গুজরাট সরকার গ’ণ’ধ’র্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিলকিস বানু গণধর্ষণ মামলার আসামিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিরোধী দল। আদালতের এই আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরাও।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ও টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এ নিয়ে টুইট করেছেন এই অভিনেত্রী। তাতে তিনি বলেন- ‘গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে কীসের ভিত্তিতে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হল? ১৫ আগস্টের ভাষণ কী ছিল? আপনি কি নারীর সম্মান ও অধিকারের কথা বলেছেন? একজন নারী হিসেবে আমি রাগান্বিত ও ভেঙে পড়েছি।’
বিলকিস বানু নিজেও বিবৃতি দিয়েছেন। বিষয়টি সামনে আনেন তার আইনজীবী শোভা। আদালতের সিদ্ধান্ত ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় বিকিদের বিশ্বাসকে নাড়া দিয়েছে। “গত ২০ বছরের ট্রমা আমার মনে ফিরে এসেছিল যখন আমি শুনলাম যে ১১ জন দোষী যারা আমার পরিবার এবং আমার জীবন ধ্বংস করেছে, এমনকি আমার তিন বছরের মেয়েকেও আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে, তারা আজ মুক্ত হচ্ছে,” তিনি বলেছিলেন। বিবৃতি ‘
২০০৮ সালে, মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ সিবিআই আদালত ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের অন্য সাত সদস্যকে হত্যা করার জন্য অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। পরে বোম্বে হাইকোর্ট সেই রায় বহাল রাখে।
১৫ বছরেরও বেশি সময় কারাভোগের পর, একজন অভিযুক্ত মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি গুজরাট সরকারের আদালতে পাঠায়। সাজা মওকুফের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট সরকার। এরপর এ বিষয়ে গঠিত কমিটি ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করে।
প্রসঙ্গত, গুজরাটের এই ঘটনায় এখন সবখানে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। আর এই সমালোচনায় তোপের মুখে পড়েছেন সেখানকার আদালতের বিচার ব্যবস্থা।