সাম্প্রতিক সময়ে বগুড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য রেশমা খাতুনকে ( Reshma Khatun ) নিষিদ্ধ পানীয় পান করিয়ে ধ/ র্ষন করে হ/ ত্য ‘র অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জ ধুনটের ( Munshiganj Dhunat ) মৃত আহাদ বক্সের ছেলে আব্দুল লতিফ শেখের উপর।ঘটনা সূত্রে যানা যায়, ওই নারী মেম্বরকে প্রথমে নিষিদ্ধ পানীয় পান করিয়ে অ/জ্ঞান করা হয় এরপর গলায় উর্ণা ( Urna ) পেঁচিয়ে শ্বা/শ’রোধ করে নিথর করা হয়। তারপর প্রয়াত রেশমকে নদীর পাশে ফেলে পালিয়ে যায় আসামী।
ক্লুসে হ/ত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল লতিফ শেখকে ( Abdul Latif Sheikh ) (৬০) মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ( Radhab ) সদস্যরা। শুক্রবার র্যাব ( Radhab )-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির ( Bogra Special Company ) কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন ( Sohrab Hossain ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
র্যাব ( Radhab ) ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার ( Bogra ) ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত-৩ আসনের (৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) সদস্য রেশমা খাতুন গোবিন্দপুর ( Gobindpur ) গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ( Faridul Islam ) স্ত্রী। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ( September ) শেরপুরে চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর তিনি নিখোঁজ হন।
২২শে সেপ্টেম্বর ( September ) কুড়িগাঁতী গ্রামের একটি ইটভাটার পাশে ধানক্ষেত থেকে তার ঝুলন্ত লা/শ পাওয়া যায়। পরদিন নি/হতের ভাই ধুনট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হ/ত্যা মামলা করেন।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ( Radhab ) সদস্যরা হ/ত্যাকা/ণ্ডের তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ/ত্যা’র সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ মার্চ ( March ) মুন্সীগঞ্জ থেকে ধুনটের মৃ/ত আহাদ বক্সের ছেলে আব্দুল লতিফ শেখকে ( Abdul Latif Sheikh ) গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ইউপি সদস্য রেশমা খাতুনকে ( Reshma Khatun ) হ/ত্যার কথা স্বীকার করেছে।
লতিফ জানান, হ/ত্যার প্রায় সাত মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে নি/হত রেশমা খাতুনের সঙ্গে তার দেখা হয়। পরে সে তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পরিষদ ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় রেশমার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
তিনি জানান, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর লতিফ রেশমাকে ( Latif Reshma ) ধুনটের মথুরাপুরের ( Mathurapur ) একটি ইটের ভাটায় নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। গল্প চলাকালীন সে তাকে কোমল পানীয় দিয়ে চে/তনানা/শক খেয়ে ধ/র্ষণে’র চেষ্টা করে। ভিকটিম রেশমা বাধা দিলে লতিফ তাকে ধ/র্ষ’ণ করে। ধ/র্ষণে’র শিকার ইউপি সদস্যরা আইনের আশ্রয় নিলে কারাগারে যেতে হবে। তাই গলায় স্কার্ফ পেঁচিয়ে হ/ত্যার পর লা/ শ নদীর পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, নিজেকে সন্দেহমুক্ত রাখতে লা/ শ উদ্ধার ও দা/ফ নে অংশ নেন এবং নি/ হ‘তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। পরে গ্রেফতারের ভয়ে আব্দুল লতিফ নিজ এলাকা ছেড়ে নোয়াখালীতে গিয়ে শ্রমিকের কাজ শুরু করেন। কিছুদিন পর তিনি মুন্সীগঞ্জে গিয়ে আ/ত্মগোপন করেন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় র্যাব ( Radhab ) লতিফকে আটক করেন এবং তাকে ধুনট থানায় হস্তান্তর করেছেন। ২০০৯ সালে বগুড়ায় আর একটি ধ/ র্ষন মামলায় তার সাত মাসের সাজা হয়েছিল। জানা গেছে লতিফ বাড়িতে আসবাবপত্র বিক্রি করতেন।