Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / National / নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আড্ডা নিয়ে বিপত্তি, এডিসি হারুনকে নিয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন

নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আড্ডা নিয়ে বিপত্তি, এডিসি হারুনকে নিয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান এ কথা বলেন।

একজন সাংবাদিক ডিবি প্রধানকে প্রশ্ন করেন, ডিএমপির রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। বাজেভাবে মারধর করেছে। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে ডিএমপি কোনো ব্যবস্থা নেবে?

জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, বিষয়টি ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। তদন্ত হবে, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে এডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রোববার সকালে তিনি বলেন, ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। ছাত্রলীগের ছেলেদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাকবিতণ্ডা হয়। অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয় রমনা থানার এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডিএইচএ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, রমনা থানার এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনসহ ১০-১৫ জন পুলিশ তাদের মারধর করে। এদিকে নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখ খারাপভাবে ক্ষতবিক্ষত ছিল।

ঘটনার বর্ণনায় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পুলিশের ৩১ ব্যাচের এডিসি হারুন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। মহিলা কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। এডিসি হারুনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ কারণে পুলিশ ডেকে তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়।

About Rasel Khalifa

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

3 comments

  1. রায় অজয় চন্দ্র

    পুলিশ কর্মকর্তার কাছে এধরণের আচরণ কাম্য হতে পারে না।তদন্ত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

  2. রায় অজয় চন্দ্র

    পুলিশ কর্মকর্তার কাছে এধরণের আচরণ কাম্য হতে পারে না। তদন্ত করে শাস্তি মূলক ব্যবস্তা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

  3. রায় অজয় চন্দ্র

    পুলিশ কর্মকর্তার কাছে এধরণের আচরণ কাম্য হতে পারে না। শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *