বাগেরহাটের মংলায় ‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলে নৌকার প্রার্থী হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে ভোট চেয়েছেন সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার। গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বাগেরহাট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের (ঈগল) পক্ষে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তার বক্তৃতার 41 সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আওয়ামী লীগ নেতা একরাম ইজারাদারকে বলতে শোনা যায়, আমরা বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত। সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। জনমনে স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; কারণ নারী নেতৃত্ব হারাম। আমরা এখানে নারী নেতৃত্বে আছি। বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগ প্রার্থী) দুইবার ভোট দিয়ে আমরা নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করছি। তাই এখানে আমাদের কোন সুখ নেই। আমি আপনাকে এখানে সত্য বলেছি. তিনি একজন নারী, তিনি কি রাজনীতি ও সমাজনীতি বোঝেন? কিছুই বুঝলাম না।’
মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা বক্তব্য শুনেছি।উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেনের বক্তব্য যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান একরাম ইজারাদার বলেন, আমি এসব কথা আওয়ামী লীগ বা নৌকা প্রতীকের নির্দেশে বলিনি। জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার উদাহরণ দিতে গিয়ে এসব কথা বলেছি। উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তার বেশ কিছু বরাদ্দ থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছেন। যার কারণে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদার (ঈগল প্রতীক) নির্বাচন করছি।
মংলা ও রামপাল নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসনে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের হাবিবুন নাহার ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা দুই আসনে দিনরাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মনিরুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির ম্যানুয়েল সরকার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শেখ নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মফিজুল ইসলাম গাজী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) সুব্রত মণ্ডল।