ঢালিউড চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবনূর। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এটি ছিল সুবর্ণ সময় যখন তিনি নিয়মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতেন। সিনেমাহলে দর্শক টানতে পারতেন প্রচুর। ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রির গ্ল্যামারাস তারকা শাবনূর সম্পর্কে তার আবিস্কারক ও প্রিয়দাদু ক্যাপ্টেন এহতেশাম বলেছিলেন, “শাবনূরের নিম্ফোম্যানিয়াক।” অর্থ্যাৎ নিম্ফোম্যানিয়াক (Nymphomaniac) হল অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচারে অভ্যস্ত ব্যক্তি। যে কিনা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তীব্র যৌন কল্পনা,তাগিদ এবং আচরণ করে। যা তার অজান্তেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এহতেশামকে শাবনূর “দাদু” সম্বোধন করলেও ক্যাপ্টেন এহতেশাম ছিলেন লোলুপতায় আক্রান্ত। তারকা হওয়ার পথ সুগম করার লক্ষ্যে শাবনূর বেশ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। শাবনূর একজন অসম্ভব প্রতিভাময়ী তারকা। অল্প সময়ের মধ্যে তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন। তার ব্যক্তিজীবন ছিল খুব উশৃঙ্খল। পারিবারিক সংস্কার কতটুকু পেয়েছেন সেদিকে গেলে হতাশ হতে হয়। চিত্রজগতে পা দিতে না দিতেই আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নজরে পড়েন। ভাইয়ের শকুনি চোখ একবার যার সর্বাঙ্গ স্ক্যানার হিসেবে কাজ করবে তখন ধরে নিতে হবে উক্ত নায়িকার কপালে দুর্গতি আছে। ভাইয়ের দয়ায় প্রচুর টাকা পয়সায় ফুলেফেঁপে উঠলেও নিজের শরীরকে কোরবান করে দিতে হবে। শাবনূরের বেলায়ও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। কারণ তিনি তখন নবাগতা। নারীদেহ লোভী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের কিন্তু বাই হুক অর বাই ক্রুক শাবনূরের সান্নিধ্য তার চাই-ই চাই। শাবনূরও টাকার বিনিময়ে মাফিয়া ভাইকে সময় দিতেন। কিন্তু প্যাথেটিক বিষয় হল, এভাবে শাবনূর গোপন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তার এই রোগের বিষয়টি গোপন রাখা হয়। বলা হয়েছে,শাবনূর তার গুপ্ত রোগের চিকিৎসা করিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে।
মোহময়ী তারকা মৌসুমি বিয়ের পর প্রথম সন্তানের মা হওয়াতে তাকে আশংকা তৈরি হয়েছিল চিত্রপুরীতে। একই রকম আশংকা তৈরি হয়েছিল শাবনূরকে নিয়েও। যখন তিনি গোপন রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।খুব অল্প বয়সে চিত্রজগতে পা রাখেন শাবনূর। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল অল্প বয়সের হিসেবে তার উপর যৌন নিপীড়ন চলেছিল। সেটা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক। মেয়েকে ব্যবহার করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন ছিল আমেনা বেগমের চোখে। শাবনূরও মায়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেকে অনিষ্টের মুখে নিয়ে গিয়েছিলেন। সোনার হরিণের নাগাল শাবনূর হয়ত পেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের অনেক ক্ষতি করে। শ্যুটিং স্পটে গেলে সুযোগ পেলেই ঝিমাতেন শাবনূর। হয়ত গাড়ি করে আউটডোরে যাচ্ছিলেন। দেখা গেল গাড়িতেই বেঘোরে ঘুমাচ্ছেন। তার মা আমেনা বেগম বলতেন, মেয়ে তার রাত জেগে পড়াশোনা করে। পড়ালেখার ধকলে তার এমন অবস্থা। যদিও শাবনূরের মায়ের ল্যাংড়া এক্সকিউজ শুনে ফিল্মের লোকরা মুখ টিপে হাসতো। কারণ শাবনূর কখনোই ভালো স্টুডেন্ট ছিলেন না। আর পড়াশোনাও তার খুব একটা হয়নি। তাকে শ্যুটিং স্পটে অনেক সময় বেশ ডিস্টার্বড মনে হত।
মাফিয়া কিং এর সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে এক সময় এহতেশামের সাথে শাবনূর ও তার মায়ের মতবিরোধ ঘটে। শাবনূরকে তারকা বানানোর গ্যারান্টি দিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাই তার মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের এক পর্যায়ে এহতেশাম বলে ফেললেন শাবনূরের লিম্ফোমেনিয়া আছে। এক ফিল্মী পার্টিতে শাবনূর আর তার মাকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে মাঝখানে বসেছিলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। রুমভর্তি সাংবাদিকদের সামনে শাবনূর অবলীলায় চুমু খেয়েছেন মাফিয়া কিংকে। এমনকি শাবনূরের মা’ও কম যাননি। সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ভাইয়ের ঠোঁটে চুমু খান আমেনা বেগম মিলি। চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠে। পত্রপত্রিকায় এসবের তুমুল চর্চা চলে। শাবনূরের বাবা কাজী নাসির স্ত্রী ও মেয়ের নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু প্রতিবাদ করে উল্টো তাকেই নাজেহাল হতে হয় স্ত্রী কন্যার কাছে। শোনা যায়, মাফিয়া কিংয়ের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে শাবনূরের মাকে তালাক দেন তার বাবা কাজী নাসির। আবার এও শোনা গেছিলো, শাবনূরের সাথে তার সৎবাবা শাহজাহান চৌধুরীর প্রথম দেখা হয় ১৯৯৬ সালে একটি ছবির লোকেশানে। এরপর শাহজাহান চৌধুরী শাবনূরের মায়ের প্রেমে পড়েন এবং তারা বিয়ে করেন। শাবনূর শাহজাহান চৌধুরীকে “চাচা” বলে ডাকেন।
মেয়েকে ব্যবহার করে শাবনূরের মা অঢেল টাকা পয়সা ধন সম্পত্তি কামিয়ে নিয়েছেন। শাবনূর তার মায়ের দিক নির্দেশনা মেনে চলেছেন। জন্মদাতা পিতার সাথে সম্পর্ক শেষ করেন শাবনূর। নিজের জন্মদাতাকে অস্বীকার করতেও দ্বিধা করেননি তিনি। তার বোন ঝুমুর ভাই তমালও তাদের বাবার সাথে যোগাযোগ রাখেনি। শাবনূরের সৎবাবা থাকতে শুরু করেন তাদের সাথে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শাবনূর কোটিপতি হয়েছেন এককালে। তার অর্থ সম্পদ পাহারা দিতেন মায়ের দ্বিতীয় স্বামী শাহজাহান চৌধুরী।
এদিকে শাবনূরের আসল বাবা কাজী নাসিরের আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিলনা। কন্যার কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি। শাবনূর তার বোন ঝুমুর তাদের বাবার নাম শুনতেই পারতেন না। সেলুলয়েডের ফিতায় দেখা যায় নায়ক-নায়িকাদের কাছে তাদের বাবা মা জানপ্রাণের মত। মা বাবার যেকোনো বিপদ-আপদ, অসুখ-বিসুখে, যেখানে থাকুক না কেন নায়ক-নায়িকারা উড়ন্ত গতিতে হাজির থাকবে ২৪ ঘন্টা। পিতা-মাতার সুখের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করবে না। আরো কত কি………..!! কিন্তু বাস্তবতা এর উল্টো। শাবনূরের পিতাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল। শাবনূর তার পিতার কোনো খোঁজ খবর রাখেননি। লোকে বলে, নায়িকার সামান্য অসুখ হলে পুরো দেশের জাতীয় খবরে পরিণত হয়, সেখানে তার জন্মদাতা পিতা ২০১১ সালে ১৮ জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে ডাকা হরতালের বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে আগুনে পুড়ে মারা যান কাজী নাসির। শাবনূর তার বাবাকে নিয়ে একরত্তি মাথা ঘামাননি। ভদ্রলোকের দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম তার মানিব্যাগ ঘড়ি জুতা কোমরের বেল্ট ও অগ্নিদগ্ধ মুখমন্ডল দেখে স্বামীর লাশ শনাক্তে করেছিলেন। আসলে দোষ শাবনূরের নয়। দোষ তার হতভাগ্য পিতার। যিনি তার মেয়েকে নৈতিক শিক্ষা দিতে পারেননি। নৈতিক শিক্ষা পেলে হয়ত শাবনূরের মানবিক অধঃপতন ঘটতো না।
একসময় পর্দা কাঁপানো নায়িকা ছিলেন শাবনূর। বহু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন। নাচে তার জুড়ি ছিলনা। তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল চমৎকার। কিন্তু একটা সময়ে বেশুমার মুটিয়ে যান। গ্ল্যামার কমে যেতে থাকলে নির্মাতারা তাকে একক নায়িকা বানিয়ে ছবি নির্মানের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কারণ ততদিনে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গ্ল্যামারাস নায়িকারা আসতে শুরু করেছে। দর্শকও আগ্রহ হারায়। তখন তিনি অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন। ২০১২ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন অনীক মাহমুদকে। ২০১৩ সালে ছেলের মা হন। স্বামীর সাথে তার দাম্পত্য সম্পর্ক চুকেবুকে গেছে। বর্তমানে তাকে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীই বলা যায়। স্বপ্নের ঠিকানা’র প্রাক্তন দুর্দান্ত গ্ল্যামারাস নায়িকা শাবনূরকে যখন ফেসবুকে পানসে পানসে ভিডিও আপলোড দিয়ে যখন বলেন, “বন্ধুরা বলোতো আমাকে কেমন লাগছে দেখতে? আজ আমরা বাইরে যাচ্ছি ফান করতে”!! দেখি তখন সত্যি বিস্মিত হই। বিশ্বাস হয়না ইনি কি রূপালী পর্দা কাঁপানো সেই শাবনূর??
Home / opinion / নারীদেহ লোভী আজিজ মোহাম্মদ শাবনূরের সান্নিধ্য চেয়েছিলেন, শাবনূরও টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজ করেছে :মিলি
Check Also
আগামীকাল ক্যান্টনম্যান্টে হামলার পরিকল্পনা করেছে আঃলীগ, মিটিংয়ের ভিডিও আসছে: ইলিয়াস হোসেন
ড. বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল শীঘ্রই মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে খুব …