সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জে একটি ত্রিমুখী সংঘ”র্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আ.লীগ এবং বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘ’র্ষ চলাকালে পুলিশ সেখানে গু’লি চালায় এতে করে এক ব্যক্তি মা”রা যান। এদিকে এ ঘটনায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, যিনি নিহত হয়েছেন তিনি আওয়ামী লীগ না বিএনপির কর্মী সেটা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলমান রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো ব্যক্তি বিএনপি না আওয়ামী লীগের কর্মী কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এ ধরনের ঘটনার পরিকল্পনা করছে। সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। বিএনপি ২০১৩-১৪-১৫ সালে যে কাজ করেছিল, মানুষ পুড়িয়ে মা”রা, পেট্রোল বো’/মা মে’রে মানুষকে নিথর করা, এবার তার নতুন সংস্করণ শুরু করেছে। দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তারা এটা করছে।
নারায়ণগঞ্জে সংঘ’/র্ষে একজন নি”/হতের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা পুলিশের অনুমতি ছাড়াই তারা নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করেছে এবং পুলিশের ওপর হাম”লা করেছে। তবে প্রয়াত ব্যক্তি বিএনপি কর্মী নাকি আওয়ামী লীগের কর্মী, তদন্ত চলছে। ভাঙ”চুর করছে বিএনপি। বিএনপির লোকজন জ্বা’লাও পোড়াও রাজনীতি করছে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে সংঘ”র্ষের সময় ‘পুলিশের গু’লিতে এক যুব নেতা প্রয়াত হয়েছেন’ বলে দাবি করেছে দলটি। তবে পুলিশ মৃ”ত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে। জানা গেছে, প্রয়াত ব্যক্তির নাম শাওন (২০)।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় এ সংঘ”র্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩০ জন।
ফতুল্লা থানার কাশিমপুর ইউনিয়নের যুবদল নেতা শাওন পুলিশের গু’লিতে নি”হত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি। ‘এছাড়া পুলিশের হামলায় আমিসহ বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো অনুমতি ছাড়াই সড়ক অবরোধ করে নগরীর ডিআইটি এলাকায় দলীয় কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। এ সময় পুলিশ তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করে। এতে কর্ণপাত না করে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
তিনি বলেন, অলি-গলি থেকে বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেয়। এ সময় কয়েকটি টিয়ারশেল ও শটগানের গু”লি ছুড়ে তারা ছত্রভ’ঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ জনকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে উকিলপাড়া জংশন থেকে ২ নম্বর রেলগেট পর্যন্ত মিছিল করতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপরই শুরু হয় সংঘ’র্ষ।
তবে এই ঘটনায় যিনি প্রয়াত হয়েছেন তিনি বিএনপি’র কর্মী বলে দাবি করছেন সেখানকার বিএনপির একাংশের নেতারা। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা বিষয়টি নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। তবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে যে দলেরই হোক না কেন যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।