বিগত কয়েক দিন আগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রয়াত হয় শাওন নামের এক যুবক। অনেকের ধারনা সে পুলিশর গুলিতে প্রয়াত হয়েছে। তবে একে একে বেরিয়ে এলো ভিন্ন ভিন্ন সব তথ্য। বিশেষ করে শাওন যদি পুলিশের গুলিতে প্রয়াত হয়ে থাকে তাহলে তার শরীরে কোন বুলেটের চিহ্ন নেই কেন। এমন প্রশ্ন নাড়া দিয়েছে সবাইকে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী হ/ ত্যা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আত্মহত্যার ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মীকে পুলিশ গুলি করে হ/ ত্যা করেছে কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখা গেছে তার শরীরে কোনো গুলির চিহ্ন নেই। বরং তার শরীরে একাধিক দাগ রয়েছে। এই ঘটনা নতুন সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পূবালী ব্যাংক মিলনায়তনে পূবালী ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধ করছেন। মানুষ আতঙ্কিত আপনারা (বিএনপি) এমন কাজ করবেন না। আন্দোলনের নামে লোহার রড দিয়ে তাণ্ডব বরদাস্ত করা হবে না। কারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
সহিংসতার শাস্তি হওয়া উচিত উল্লেখ করে হানিফ বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। আপনি তাদের মাধ্যমে পেতে পারেন না. দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও হত্যার দায়ে পলাতক আসামি তারেক রেহাই পাবে না। দেশে এলে তার শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো দেশ হতে পারত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারীরা জনগণের ভাগ্যের পরোয়া করেনি। তারা নিজেদের আনন্দে মত্ত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশের কিছু লোক বঙ্গবন্ধুকে হ/ ত্যা করে পাকিস্তানের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করেছে। আর এর পেছনে ছিলেন জিয়াউর রহমান।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, গত ১৩ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন পরিচিতি পেয়েছে। একসময় ব্যর্থ রাষ্ট্র, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত দেশকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নতুন পরিচয় দিয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে দূরদর্শী শেখ হাসিনার ক্ষমতায়।
পূবালী ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ ছানাউল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে শাওনের সাথে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার সরাসরি আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে বিএনপিসহ বিরোধী দলের অনেক নেতারা। তবে এই ঘটনায় একের পর এক ভিন্ন ধরনের তথ্য সামনে আসায় সবার মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পুলিশ এখনো এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ধারনা করছে ঘটনাটি প্রকল্পিত।