সারাদেশে জানালি তেল, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি ও গুম ও খু/ নের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এমই একটি প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিএনপির নেতারা। দূর থেকে পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে বিএনপির দলীয় লোকজনেরা। অন্যদিকে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ টিয়ার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এবং ঘটনা স্থল থেকে প্রায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ১০ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসিনের আদালত তাদের প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে থাকারা হলেন- মোঃ আব্দুস সাত্তার (২২), মোঃ মজিবুর রহমান (৫২), রঞ্জন কুমার দেবনাথ (৩৬), রাজীব (৩৮), মোঃ জনি (৩৮), বাদল (৩৩), মোঃ আবুল কালাম ভূইয়া (৩৩)। 48), রিমন (22), ইমান (18) এবং সোহান (15)।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা মামলায় ১০ জনকে আটকের পর রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ ৭১ জনকে বাদী করে অজ্ঞাতনামা ৫ হাজারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের রেলগেট এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলির শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সব যান চলাচল বন্ধ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ বক্স।
এ ঘটনায় ১৫ পুলিশসহ বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নিহত হন শাওন নামে এক যুবক।
সম্প্রতি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৪১ জন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে এই ঘটান প্রয়াত যুবক শাওনের গায়ে কোন গুলির চিহ্ন না থাকায় নতুন করে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি অনেকেই ভিত্তিহীন বলে ধারনা করছেন।