নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, আর তাই এই নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে প্রার্থী এবং তাদের সমর্থিত নেতাকর্মীদের প্রচার প্রচারণা। এই নির্বাচনে বিএনপি তাদের দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রার্থী না দিলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিএনপি সভানেত্রী বেগম জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার। তাকে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি সভানেত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের অন্যতম আলোচনায় উঠে আসা ব্যক্তি হলেন শামীম ওসমান। নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে আইভী এই নির্বাচনে শামীম ওসমানের ভূমিকা এবং অবস্থান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে ওনাকে খুব দরকার বলে কী মনে হয় আপনাদের? উনি একজন এমপি। উনি তো ইচ্ছা করলেও প্রচারে আসতে পারবেন না। তাই আমরা নির্বাচনের মধ্যেই থাকি। উনি তো নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে পারবেন না। আমরা যারা নৌকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো, তাদেরই মাঠে থেকে কাজ করে যেতে হবে। নৌকার সওয়ারী আপনারা, আপনাদের মাধ্যমেই নৌকা তার পথ পাবে। কেউ যদি নির্বাচনে জরুরী না হন, তাহলে আমরা তার বিষয়ে কথা না হয় নাই বললাম। মঙ্গলবার সেলিনা হায়াত আইভী সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ও ২নং ওয়ার্ডে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গণসংযোগ করেন। এ সময় ‘নৌকা নৌকা’ শ্লোগানে গণসংযোগের স্থানগুলো মুখরিত হয়ে উঠে।
ডা. আইভী গণসংযোগে গেলে নানা বয়সী ভোটাররা তার সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় নারী ভোটাররা তাকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন। এ সময় আইভীকে ফুলের তৈরি নৌকা দিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় প্রচারণায় তার সঙ্গে ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ওমর ফারুক, কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদা মোজাফফর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি ওই নির্বাচনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বিপুলভাবে জনগণের সমর্থন পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। সেলিনা হায়াৎ আইভী তাকে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।