পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় তাবলিগ জামাতের ১৫ সদস্যের খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে তাদের সর্বস্ব লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা কেউই রবিবারের ফজরের নামাজ পড়তে পারেননি। এই ঘটনার পর সেখানকার স্থানীয়রা তাদের সুস্থতার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) রাতে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর সদর ইউনিয়ন এলাকার ইউসুফপুর নামক গ্রামের ফরাজী বাড়ি মসজিদে এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। আজ রবিবার সকালের দিকে তাদের মধ্যে ১১ জনকে আশ’ঙ্কাজনক অবস্থায় কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি স্থানীয়রা।
হাসপাতালে রয়েছেন- হাজী চানমিয়া, চৌধুরী, আলাউদ্দিন, শেখ ফরিদ, উজ্জল, রফিকুল, তৈয়ব আলী, জামান, রফিকুল ইসলাম, জহির ও শরীফুল। এছাড়া সাকিব খন্দকার, রেজাউল, রুমান ও বাচ্চু মিয়া মোটামুটি সুস্থ আছেন।
ভু’ক্তভো/গীরা জানান, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে তাবলীগ জামাতের ১৫ সদস্য ইউসুফপুর গ্রামের ফরাজী বাড়ির মসজিদে ওঠেন। রাতের খাবার শেষে তারা কেউ আর ফজরের নামাজ পড়তে উঠতে পারেননি। পরে বুঝতে পারেন দুর্বৃত্তরা রাতের খাবারের সঙ্গে চেত’নানা’শক খাইয়ে তাদের সর্বস্ব লু’টে নিয়েছেন। অসুস্থ ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আবুল খায়ের যিনি মহিপুর থা’নার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সেখানে কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত সেটা খুজে দেখতে তৎপর রয়েছি। তবে একটি ধর্মীয় স্থানে এই ধরনের ঘটনা আশা করা যায় না।