সম্প্রতি তারকারা আলোচনা আসতে নানা ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যার কারণে সমগ্র বিনোদন মাধ্যমে সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নানা ভাবে সমালোচনার মুখে পড়ছে।শুধু নয় অনেকে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পড়তে বিপাকে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
কিছুদিন আগে শাকিব খানের ছবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে যেভাবে রুনা খান তার নাক সিঁটকিয়ে বললেন,”শাকিব খানের সিনেমা দেখার মত রুচি তিনি তৈরি করতে পারেননি। সিনেমাহলে গিয়ে শাকিবের মুভি দেখবেন এমন আগ্রহ তার কখনো তৈরি হয়নি”! এখন প্রশ্ন উঠতে পারে রুনাকে দেখার মত রুচি আদৌ কি কারো আছে?রুনা নিজেকে এক্সট্রা অর্ডিনারী সুপার ট্যালেন্টেড অ্যাকট্রেস ভাবেন। হ্যাঁ তিনি হয়ত ভালো অভিনেত্রী। কিন্তু নিজেকে খুব ওভার এস্টিমেট করছেন। লাল সিল্ক কাপড়ের নামসর্বস্ব উত্তেজক পোশাকে রুনা তার শরীরের নদীনালা পাহাড় পর্বত এবং উপত্যকার ভৌগোলিক অবস্থান তুলে ধরেছেন চরম নোংরামির সাথে। রুনার অর্ধবিবস্ত্র ছবিগুলোতে তার সৌন্দর্যের কোনো উপমাই নেই। আছে পৈশাচিক সৌন্দর্যের জঘন্যতম কদর্যতা ও নির্লজ্জতার অবাধ প্রদর্শন। মানুষের খোলামেলা হওয়ারও একটা ধরণ থাকে। কিন্তু এই মহিলা দিন দিন এত বেশি উগ্র হয়ে উঠেছেন এখন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছেন না। সত্যি বলছি, রুনা খানের প্রতি পাবলিকের অরুচি দলবেঁধে জমায়েত হতে শুরু করেছে। তিনি হয়ত জানেন না অশ্লীলতা কখনোই সৌন্দর্যের প্রতীক হতে পারেনা। রুনা খানের অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী সৌন্দর্য জ্ঞান তাকে একদিন পতনের মুখে টেনে নেবে। কোনো সুস্থ স্বাভাবিক রুচির মানুষ তার এমন উশৃঙ্খল বেলেল্লাপনাকে সাদরে গ্রহণ করবেনা।
অশ্লীলতা বিনোদন জগতের সাথে রিলেটেড থাকলেও তরুণ প্রজন্মের উপর তা বেশ নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলে। এটা সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করে। সমাজকে কলুষিত করে। নিষ্পাপ ও কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র হনন করে। তরুণ প্রজন্মকে কুকর্মের প্রতি প্রলুব্ধ করে। রুনা খান যেমন অভিনয়কলায় মাশাআল্লাহ। তেমনি নোংরামির ষোলোকলাতেও তিনি হাল্লা হাল্লা। মানুষের সমালোচনাকে তিনি নিতে পারেন না। অর্ধনগ্ন ফিগারকে লিফলেট বানিয়ে পুরুষদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। লজ্জাহীনতা রুচিহীনতা অসুন্দর অশোভন-এসবই রুনা খানের তথাকথিত রুপের কুরুচিপূর্ণ সন্ত্রাস। নগ্নতাকে পুঁজি করে এরা বিনোদন জগতে অশ্লীলতার সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এখনই এদেরকে বয়কট করার উপযুক্ত সময়। রুনা খানকে শিখতে হবে নগ্নতার গায়ে রঙ মাখলেই তা শিল্প হয়ে যায়না। এটা দুর্ভাগ্য যে,একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন অভিনেত্রী দিনে দিনে তার নিটোল সৌন্দর্যকে বিনোদনের নামে অন্ধকার কারাগারে বন্দী করেছেন। রুনারা তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে যাচ্ছেন লাল-নীল ফ্যান্টাসির জগতে। এভাবে চলতে থাকলে তিনি বয়কটের মুখে পড়বেন। সুবর্ণা মোস্তফা শমী কায়সার বিপাশা হায়াত আফসানা মিমি অপি করিমরাও নাট্যজগতে রাজত্ব করে গেছেন। কিন্তু এদের কেউই রুনার মত নিজেদের ইমেজ বরবাদ করেননি।