খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) লাবনী আক্তার আত্মহনন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার শ্রীপুরে নানার বাড়িতে গিয়ে আত্মহনন করেন তিনি। অপরদিকে মাগুরা পুলিশ লাইন্সে আত্মহনন করেছেন এক কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যারাকের ছাদ থেকে তার নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পৃথক ঘটনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত নিথরদেহ এবং মাগুরা থেকে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গু// লিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারংদিয়া গ্রামের নানাবাড়ি থেকে এডিসি লাবনী আক্তারের ওড়না ও মাগুরা পুলিশলাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে কনস্টেবলের গু// লিবিদ্ধ নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, রাতে ডিউটি থেকে ফেরার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজের নামে দেওয়া অ// স্ত্র দিয়ে মাথায় গু// লি করে আত্মহনন করেন মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল হাসানের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। দেড় মাস আগে তাকে মাগুরায় বদলি করা হয়।
অপরদিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারংদিয়া গ্রামের নানাবাড়ি পরিদর্শনে আসেন খুলনা মহানগরের (ডিবি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লাবণী আক্তার। বৃহস্পতিবার সকালে গলায় ওড়না দিয়ে তার নিথরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এসএম ফজলুল হক টেলিফোনে দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, লাবণী ছুটিতে ছিলেন। এটি আত্মহনন নাকি অন্য কিছু তা এখনো জানা যায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, নিথরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, লাবনী আক্তারের বাবা শফিকুল আজম জানান, গত ১৭ জুলাই লাবনী এক সপ্তাহের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গ্রামের বাড়িতে আসার সময় তিনি শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সারং দিয়া গ্রামের নানাবাড়িতে ছিলেন। বুধবার গভীর রাতে সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে দরজা না খুললে দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আত্মহনন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে লাবনির ঝগড়া চলছিল। স্বামীর সঙ্গে তার সঙ্গম হচ্ছিল না। সে কারণেই হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।