একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতেই রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে বইছে বেশ শোরগোল। স্বাভাবিক ভাবেই একজন শিক্ষককে অভিভাবকের সঙ্গে তুলনা করা হয় থাকে, আর সেখানেই কিনা নিজ সন্তানদের মতো শিক্ষার্থীদের সাথে নানা অসামাজিক কার্যকালাপ ঘটিয়ে আসছিলেন রংপুরের মিঠাপুকুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলম তালুকদার মিরন (৫০)।
ছাত্রীদের কাছে ডেকে নানা অজুহাতে জড়িয়ে ধরাসহ শরীরে হাত দিতেন তিনি তার বিরুদ্ধে এমন যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তুলেছেন ছাত্রীদের অভিভাবকরা।
এ ঘটনায় আজ রোববার বিকেলে ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শাল্টিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ছাত্রীদের অভিভাবক, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যালয় চলাকালীন কৌশলে ছাত্রীদের কাছে ডেকে নিতেন প্রধান শিক্ষক। এরপর নানা অজুহাতে ছাত্রীদের জড়িয়ে ধরাসহ শরীরে হাত দিতেন। বিভিন্ন সময়ে কোমলমতি ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন চালালেও ভয় ও লজ্জায় বিষয়টি অভিভাবককে জানায়নি তারা।
এক সপ্তাহ থেকে তৃতীয় শ্রেণির ৪/৫ জন ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল না। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে, শিক্ষার্থীরা বিষয়টি খুলে বলে। এ ঘটনায় আজ রবিবার এক ছাত্রীর অভিভাবক মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরই ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে ঐ শিক্ষকের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে মিঠাপুকুর থানার ওসি জানিয়েছেন, এক ছাত্রীর অভিভাবকের করা মামলার আলোকে ঐ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। আর এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।