বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অসংখ্য বাংলাদেশীরা রয়েছে। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশেই জন্মগত সূত্রে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে অসংখ্য বাংলাদেশী। তবে সম্প্রতি ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা নতুন শঙ্খায় পড়েছে। দেশটির মন্ত্রনালয় নাগরিক্ত নিয়ে নতুন পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কোনও নোটিশ ছাড়াই ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারাতে পারে ব্রিটিশ বাংলাদেশিসহ ৬০ লাখ নাগরিক। আইনটি পাস হলে, ব্রিটেনে এথনিক মাইনোরিটি কমিউনিটি থেকে আসা প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দুই জন নাগরিকত্ব মর্যাদা হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন। অফিস ফর ন্যাশন্যাল স্ট্যাটিসটিকসের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শেতাঙ্গদের মধ্যে ৪১ শতাংশ নাগরিক কোনও নোটিশ ছাড়াই নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকেই ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে ব্রিটিশ জনগণের স্বার্থে দ্বৈত নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা বিদ্যমান রয়েছে। ২০১৪ সালে রাষ্ট্রের হাতে নাগরিকত্ব বাতিলের এ ক্ষমতা বাড়ানো হয়। তখন নিয়ম করা হয়, বিদেশে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ নাগরিকদের ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই, এমন নাগরিকদেরও সরকার ব্রিটেনের স্বার্থে চাইলে রাষ্ট্রহীন করতে পারবে। এমন বাস্তবতার মধ্যে সরকারের এ নতুন বিলটি পাস হলে ব্রিটেনের নাগরিকদের রাষ্ট্রহীন করার ক্ষমতা আরও বড় পরিসরে সরকারের হাতে চলে যাবে। খসড়া বিলের ৯টি ধারায় বলা আছে, সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে কোনও নোটিশ ছাড়াই নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারবে।
প্রতিবছরেই বাংলাদেশ থেকে নানা প্রয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়ে থাকে অসংখ্য বাংলাদেশী। এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই এদের মধ্যে অনেকেই স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়ে থাকে। তবে ব্রিটেনে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বেশ বিপাকে পড়েছে সম্প্রতি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়া পদক্ষেপে। তবে ব্রিটেনে বিভিন্ন সংগঠন সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। এবং নতুন আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।