বাংলা ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় তারকা দম্পতি এফ এস নাঈম ও নাদিয়া আহমেদ। গতকাল ২৯ নভেম্বর ছিল গুণী এই অভিনেতার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে প্রতিবছরই নানা আয়োজন করে থাকেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় এবছরেও ঘটেনি এর ব্যতিক্তম। গতকাল পরিবার-পরিজনদের নিয়ে কেক কেটেছেন নিজের জন্মদিন পালন করেন। অন্যদিকে স্বামীর জন্মদিন উপলক্ষে পুরো দিনটি ফ্রি রেখেছিলেন নাদিয়া। দিয়েছেন বিশেষ উপহার।
স্ত্রীর কাছ থেকে এবার কী উপহার পেয়েছেন, এমন প্রশ্নে নাঈম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নাদিয়া আমার জন্য শুটিং রাখেনি, এটা বড় গিফট। এটাও মনে করিয়ে দেয় আলাদা একটা কেয়ারের কথা। রাতেই সে আমাকে চমকে দিয়েছে। আমাকে ঘড়ি ও স্যুট উপহার দিয়েছে। নাদিয়ার যেকোনো উপহারই আমাদের জন্য বিশেষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জন্মদিনে সব সময় নাদিয়া আমার পছন্দের জিনিসগুলো গিফট করে। আমি বলতে গেলে শপিংবাজ। প্রচুর শপিং করি। ও (নাদিয়া) জানে আমার পছন্দ কী।’
জন্মদিনে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নাঈমকে জিজ্ঞেসা করা হয়, স্ত্রীর চোখে তার বড় দোষ এবং গুণ কী। নাঈম সেই প্রশ্নের জবাব না দিলেও উত্তর দিয়েছেন স্ত্রী নাদিয়া। তার ভাষ্য, নাঈমের একটি বড় দোষ আছে। তবে তার বড় গুণ অনেক।
নাদিয়া বলেন, ‘ওর (নাঈম) দোষ একটাই, ও অনেক কিছু ভুলে যায় (হাসি)। অনেক সময় কিছু একটা বলল বা তাকে বলা হলো, সেটা সে ভুলে বসে থাকে। এটা তেমন দোষের মধ্যে পড়ে না, কিন্তু অনেক সময় এ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়।’
অন্যদিকে স্বামীর গুণ প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী জানান, ‘নাঈমের অনেক গুণ আছে। নাঈম সবার আগে পরিবারকে প্রায়োরিটি দেয়। মা–বাবা, বোন, বোনের ছেলে–মেয়ে, শ্বশুর–শাশুড়ি, আমি- সবাইকে খুব গুরুত্ব দেয়। আর সংসার করার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও সহনশীলতা। সেই বোঝাপড়া আমাদের মধ্যে আছে। আমাদের দুজনেরই ছাড় দেওয়ার মনমানসিকতা রয়েছে।’
এদিকে নাঈমের জন্মদিনটি বিশেষভাবে কাটাতে তারা একসঙ্গে লাঞ্চ করতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলো তার মা, বাবা, বোন, স্ত্রী নাদিয়া আহমেদ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য।
উল্লেখ্য, বেশ ধুমধাম করে ২০০৮ সালে অভিনেতা মনির খান শিমুলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নাদিয়া আহমেদ। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের কলহের জের ধরে মাত্র ৫ বছরের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। এরপর ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারী নাঈমের সঙ্গে ঘর বাঁধার মধ্য দিয়ে নতুন করে সংসার সাজান এই অভিনেত্রী।