অবৈধ নিশিদ্ধ দ্রব্যের ব্যাবসা করছে আরার কলি গোপন সূতে এমন খবর পেয়ে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তবে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখে নিষিদ্ধ দ্রব্য বিক্রিসহ আরো অনেক অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আনারকলি। এই ঘটনায় তাকেসহ তার এক বন্ধকেও আটক করেছি পুলিশ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ দ্রব্য বাড়িতে রাখার অভিযোগে বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলিকে তার নাইজেরিয়ান বন্ধুসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ড্রা’গ কন্ট্রোল অথরিটির ডিটেনশন সেন্টারে তাকে প্রায় ২৪ ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তিনি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া সরকারের উদারতার মাধ্যমে মুক্তি পান। দূতাবাসের হেফাজতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইন্দোনেশিয়ার সীমান্ত ত্যাগ করার শর্ত দেওয়া হয়। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সেগুনবাগিচার নজরে আসে।
জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়। সূত্রের মতে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, ইন্দোনেশিয়ার ড্রাগ কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ কাজী আনারকলির বাড়িতে অত্যন্ত কঠোরতার সাথে অভিযান চালায়, মাদক উদ্ধার করে এবং তাকে তার নাইজেরিয়ান বন্ধুদের সাথে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে আনা ওই বিদেশি বন্ধুর সঙ্গে জাকার্তায় একটি বাড়ি শেয়ার করতেন আনারকলি। সূত্রের খবর, লিভ টুগেদার ছিল এই দুইজনের সম্পর্ক। তবে তার বয়ফ্রেন্ডের নাম বা কার সাথে সে বাড়ি ভাগাভাগি করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি।
এটা নিশ্চিত যে সে নাইজেরিয়ার নাগরিক। সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে খুবই কঠোর। তারা এখনও চিকিৎসা অনুশীলনে গাঁ’ জা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। ইন্দোনেশিয়ার আইনে মাদকদ্রব্য রাখা বা সেবনের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃ ‘ত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। সূত্র জানায়, কূটনীতিকের বাসভবনে মাদক রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ৫ জুলাই তারা অভিযান চালায়। তবে তার গ্রেফতার ও মুক্তি দেশত্যাগের জন্য তেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং সেই চাপ ছিল ঢাকা থেকে। কারণ তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের পূর্বনির্ধারিত ইন্দোনেশিয়া সফরের প্রস্তুতি চলছিল।
এদিকে আনাকলির আটকের বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ থেকে তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করবে। তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, কূটনৈতিক বিশ্বে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে কলঙ্কিত করা আনারকলির গাঁজা মামলার অনানুষ্ঠানিক তদন্ত ইতিমধ্যেই চলছে। ১৬ই জুলাই, জাকার্তা মিশনের উপপ্রধান কাজী আনারকলি ইন্দোনেশিয়া ত্যাগ করেন। এ কে আব্দুল মোমেন দেশ সফরে এসেছেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সচিব মাশফি বিনতে শামস।
তাকে এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সে সময় ইন্দোনেশিয়া সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য আনারকলিকে তলব করা শিগগিরই শেষ হবে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ বিষয়ে আরও জানান, একজন কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয় আনারকলিকে ফিরিয়ে আনতে চায় এবং নীরবে তার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত করতে চায়। তার তদন্তের ফাইল অনেক আগেই শুরু হয়েছে এবং অনুমোদনও হয়েছে। কিন্তু চিঠি দেওয়া হয়নি। আজ থেকে চিঠি দেওয়াসহ অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা।নিষিদ্ধ মাদক গাঁজা বাড়িতে রাখার অভিযোগে বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলিকে তার নাইজেরিয়ান বন্ধুসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির ডিটেনশন সেন্টারে তাকে প্রায় ২৪ ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তিনি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া সরকারের উদারতার মাধ্যমে মুক্তি পান। দূতাবাসের হেফাজতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইন্দোনেশিয়ার সীমান্ত ত্যাগ করার শর্ত দেওয়া হয়। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সেগুনবাগিচার নজরে আসে।
জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়। সূত্রের মতে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, ইন্দোনেশিয়ার ড্রাগ কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ কাজী আনারকলির বাড়িতে অত্যন্ত কঠোরতার সাথে অভিযান চালায়, মাদক উদ্ধার করে এবং তাকে তার নাইজেরিয়ান বন্ধুদের সাথে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে আনা ওই বিদেশি বন্ধুর সঙ্গে জাকার্তায় একটি বাড়ি শেয়ার করতেন আনারকলি। সূত্রের খবর, লিভ টুগেদার ছিল এই দুইজনের সম্পর্ক। তবে তার বয়ফ্রেন্ডের নাম বা কার সাথে সে বাড়ি ভাগাভাগি করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি।
এটা নিশ্চিত যে সে নাইজেরিয়ার নাগরিক। সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে খুবই কঠোর। তারা এখনও চিকিৎসা অনুশীলনে গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। ইন্দোনেশিয়ার আইনে মাদকদ্রব্য রাখা বা সেবনের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। সূত্র জানায়, কূটনীতিকের বাসভবনে মাদক রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ৫ জুলাই তারা অভিযান চালায়। তবে তার গ্রেফতার ও মুক্তি দেশত্যাগের জন্য তেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং সেই চাপ ছিল ঢাকা থেকে। কারণ তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের পূর্বনির্ধারিত ইন্দোনেশিয়া সফরের প্রস্তুতি চলছিল।
এদিকে আনাকলির আটকের বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ থেকে তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করবে। তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, কূটনৈতিক বিশ্বে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে কলঙ্কিত করা আনারকলির গাঁজা মামলার অনানুষ্ঠানিক তদন্ত ইতিমধ্যেই চলছে। ১৬ই জুলাই, জাকার্তা মিশনের উপপ্রধান কাজী আনারকলি ইন্দোনেশিয়া ত্যাগ করেন। এ কে আব্দুল মোমেন দেশ সফরে এসেছেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সচিব মাশফি বিনতে শামস।
তাকে এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সে সময় ইন্দোনেশিয়া সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য আনারকলিকে তলব করা শিগগিরই শেষ হবে। উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ বিষয়ে আরও জানান, একজন কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয় আনারকলিকে ফিরিয়ে আনতে চায় এবং নীরবে তার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত করতে চায়। তার তদন্তের ফাইল অনেক আগেই শুরু হয়েছে এবং অনুমোদনও হয়েছে। কিন্তু চিঠি দেওয়া হয়নি। আজ থেকে চিঠি দেওয়াসহ অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা।
যদিও আনারকলি যে অপরাধে ধারা পড়েছে সে অপরাধে ওই দেশে যাবত জীবন অন্যথায় মৃত্যু দন্ডের বিধান রয়েছে। তবে আনারকলিকে নিয়ে এখনো তদন্ত চলমান। এছাড়া সে নিজেকে নিরাপরাধ প্রমানের জন্য সে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।