গত ১৮ মে ( May ) ঢাকা ( Dhaka ) থেকে নরসিংদী বেড়াতে আসা দুই তরুণীর সাথে খারাপ আচরণ করার ঘটনায় অনেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই ঘটনাটি সুধু ওই নারীদের বিষয় নয়, এই ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ করে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) নারী অধিকারকে। তাই এই বিষয় গুলোই ঢাকা ( Dhaka ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ( Dr. Asif Nazrul ) যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোষ্ট করেন তিনি। তখনি শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকে অনেক বিতর্কিত মন্তব্যও করেন তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তিনি এই বিষয় নিয়ে আরো একটি পোষ্ট করে এই সমালোচনার জবাব দেন।
মেয়েরা কি পরবে তা নিয়ে কিছু লোকের ধর্ম খুব শক্ত বলে মনে হয়। এতটাই তীব্র যে নরসিংদীর ( Narsingdi ) ঘটনা পোস্ট করার জন্য তারা আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে আ’ক্রমণ করছে, কেউ কেউ অ//শ্লীলভাবে করছে, যেহেতু অ//শ্লীলতা ধর্মবিরোধী,কাজেই ধর্মবিরোধীভাবে। ধর্ম কিন্তু শুধু মে ( May )য়েদের জন্য নয়। ধর্ম পুরুষদেরকে শালীন পোশাক পরতে এবং মে ( May )য়েদেরকে মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখতে বলে। ধর্ম অনুসারে, টিভিতে ( TV ) বা সিনেমা বা অ//শ্লীল ছবিতে উ//লঙ্গ বা অ//র্ধন//গ্ন নারীদের দেখা, লেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমাদের ধর্মও অন্য নারীদের সাথে অ//শ্লীলতা বা অ//শ্লীলতাকে পাপ বলে অভিহিত করেছে।
অন্যদিকে, ধর্ম আমাদের কঠোরভাবে সৎ জীবনযাপন করতে সেখায়। ধর্ম অনুসারে, আপনি কোন অবৈধ আয় করতে পারবেন না, আপনি মিথ্যা বলতে পারবেন না, আপনি আমানতের খেয়ানত করতে পারবেন না, আপনি কারো ক্ষতি করতে পারবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে, জনগণের উপকার করতে হবে, সবকিছুই দায়িত্বের সঙ্গে করতে হবে।
আমি অনেক লোকের মধ্যে এই ধর্মীয় অনুশাসনগুলির প্রতি তেমন আগ্রহ দেখি না, যতটা আমি শুধুমাত্র মেয়েদের পোশাকে দেখি। হেলমেট আর হাতুড়ি বাহিনী নিয়ে রাস্তায় কত গুন্ডামি, অপবাদ, সন্ত্রাস চলছে তার খবর শুনি না, খবর শুধু মেয়েরা কি পরেছে।
এর কারণ কী, এসব নিয়ে কথা বলা নিরাপদ?
মেয়েদের (এবং ছেলেদের) পোষাকের শালীনতার বিষয়ে আপনার বক্তব্য থাকবে। কিন্তু আপনি এটি অন্য কারো উপর জোর করতে পারবেন না, আপনি এটি দিয়ে কাউকে হয়রানি করতে পারবেন না। এটা তাদের মত নয় যারা বিশ্বাস করে না, আমি তাদের মত নই। আরেকটি বিষয়. আমি ব্যক্তিগতভাবে অশালীন পোশাকের পক্ষে নই। আমার ক্লাসের কোনো ছেলেও যদি হাফপ্যান্ট পরে, আমি তাকে ভদ্রভাবে বুঝিয়ে নিষেধ করব। তবে রাস্তায় মানুষকে বলব না, কাউকে হয়রানি করব না।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ওই তরুনীল পরনে ছিল আধুনিক পোশাক। আরেক জনের হাতে ট্যাটু ছিল। এটা দেখে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা মন্তব্য করেন। একপর্যায়ে ওই নারী ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় রেলস্টেশন থেকে কয়েকজন মেধাবী ছুটে এসে ওই তরুণীদের এলোপাতাড়ি মা//রধর শুরু করে।