Tuesday , December 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নয়াপল্টনে নিহত বাবার লাশের দিকে তাকিয়ে নীরবে কাঁদছিল মিথিলা, জানা গেল স্ত্রীকে শেষ কি বলেছিলেন সেই মকবুল

নয়াপল্টনে নিহত বাবার লাশের দিকে তাকিয়ে নীরবে কাঁদছিল মিথিলা, জানা গেল স্ত্রীকে শেষ কি বলেছিলেন সেই মকবুল

গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত হন মকবুল হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বোনের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে ঢাকায় কারচুপির পুঁতি কিনতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কে জানতো এ যাত্রায় হবে তার শেষ যাত্রা! মকবুল হোসেনের মৃত্যুর খবরে যেন শোকের সাগরে ভাসছে গোটা পরিবার।

ওই দিন সন্ধ্যায় মকবুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্ত্রী হালিমা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমএইচ) হাসপাতালে আসেন। এ সময় মর্গের সামনে হালিমা ও পরিবারের সদস্যরা কাঁদছিলেন। সবাই যখন জোরে চিৎকার করছিল, তখন সাত বছরের মিথিলা বাবার লাশের দিকে তাকিয়ে নীরবে কাঁদছিল।

মকবুলের স্ত্রী হালিমা খাতুনের কান্না শুনে শত শত মানুষ হাসপাতালে জড়ো হয়। হালিমা বারবার কাঁদছে আর মিথিলাকে জড়িয়ে ধরে মর্গের সামনে বসে কাঁদছে। কাঁদতে কাঁদতে মেয়েকে বলছিলেন, ‘আর কান্দিস না, তোর বাবা আর নেই’।

মকবুল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি পল্লবীর লালমাটি টিনশেড কলোনি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

হালিমা খাতুন জানান, সকালে মকবুল তার বড় বোনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে নকল পুঁতি কিনতে বের হয়। ঘণ্টাখানেক পর মকবুল বলল, আমি মিরপুর ১১ নম্বরে আছি। তারপর মিথিলা জিজ্ঞেস করলো, নাস্তা করেছ? আমি বললাম হ্যাঁ। এটাই ছিল মকবুলের সঙ্গে শেষ কথা।

এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে গুলিবিদ্ধ মকবুলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে মকবুলের বিষয়ে স্ত্রী হালিমার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দাবি করেন, তার স্বামী রাজনীতি করতেন না। তবে ভাই দাবি করেছেন, মকবুল একজন বিএনপির অন্যতম ত্যাগী কর্মী ছিলেন।

About Rasel Khalifa

Check Also

ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ফাঁস, বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *