সামাজিক মাধ্যমে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জরিয়ে পরে দুই প্রেমিক-প্রেমিকা। প্রেমের কিছুদিন পরে প্রেমিকার অনুরোধে প্রেমিক দেখা করা উদ্দেশ্যে প্রেমিকার বলে দেওয়া স্থানে যায়। নিদ্রিষ্ট স্থানে যাওয়ার পরে দুইজন দুইজনার সম্মুতিতে একে অপরকে বিয়ে করতে সিদ্ধান্ত্য গ্রহন করেন। তাদের সিদ্ধান্ত্য মোতাবেক এক কাজী অফিস থেকে তারা বিয়ের কাজও সম্পন্ন করেন।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে বিয়ে করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন দুই সন্তানের জননী মৌসুমী আক্তার। রোববার (২৪ জুলাই) উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই দম্পতিকে দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন বাড়িতে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সাথে বৈরিতার কারণে গৃহবধূ মৌসুমী আক্তার কয়েকদিন ধরে তার বাবা মহিরুদ্দিনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার গিরগিরি গ্রামের ফারুক মণ্ডলের ছেলের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয়। নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে ওই কিশোরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মৌসুমী। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) একপর্যায়ে কিশোর তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে সাদুল্লাপুরে আসে। পরে মৌসুমী তার প্রেমিককে নিয়ে স্থানীয় এক কাজীর বাড়িতে গিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে নতুন প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে আনার পর কিশোর জানতে পারে মৌসুমীর দুটি সন্তান রয়েছে। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে সালিশের মাধ্যমে বিয়ে দেয়। থাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মিন্টু ঢাকা পোস্টকে জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে মানুষের কাছে বিয়ের কথা শুনেছি। কোনো ইউপি সদস্যকে সালিশ বৈঠকে ডাকা হয়নি।
উল্লেখ্য, সামাজিক মাধ্যমে নিজের পরিচয় গোপন রেখে এক কিশোরকে ফাঁদে ফেলেছ ২ সন্তানের এক জননী। নিজেকে অবিবাহিত এবং কিশোরী পরিচয় দিয়ে উক্ত যুবকের সাথে প্রেম করে তাকে একটি কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে সেই কিশোর জানতে পারেন যে, তার কিশোরী প্রেমীকা আসলে কিশোরী নন। তিনি বিবাহিত এবন বর্তমানে দুই জননীর মা।