বরিশালের চরবাড়িয়া ইউনিয়নে পুরোনো নথিপত্র গায়েব হওয়ার সন্দেহে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সচিবালয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার গুঞ্জনের পর দুটি ট্রাক আটক করে স্থানীয় জনতা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার কাগাশুরা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। ট্রাক দুটি পরে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল ইসলাম সাবু জানান, “সচিবালয়ে আগুন দিয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে স্থানীয়রা দুটি ট্রাক আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাকে অবহিত করে। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী উপস্থিত হয়ে জানান, এটি বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো নথিপত্র এবং আসবাবপত্র, যেগুলো পুড়িয়ে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছে।”
শহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রায় এক যুগ পুরোনো নথিপত্রগুলোর কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে, তাই সেগুলো পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই অফিস কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে এগুলো ট্রাকে করে ময়লা খোলার ভাগাড়ে পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই দুই কর্মকর্তার কেউ ময়লার ভাগাড় চেনেন না। তাই ট্রাক চালক এবং কর্মচারী নিজেদের সিদ্ধান্তে এগুলো কাগাশুরা বাজারে নিয়ে যান।”
তিনি আরও জানান, “আমার ধারণা, তারা হয়তো নথিপত্রগুলো বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। একটি বান্ডিল কাগজ ট্রাক থেকে রাস্তায় পড়ে গেলে স্থানীয়রা তা দেখে এবং সচিবালয়ে আগুন লাগানোর ঘটনায় সন্দেহ পোষণ করে ট্রাক দুটি আটক করে। পুলিশ এসে বিষয়টি পরিষ্কার করলে জনতা এবং পুলিশ সেগুলো ফেরত দেয়।”
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম বলেন, “জনতা দুটি ট্রাক ভর্তি কাগজপত্র আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়।”