Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / তেলাপিয়া মাছ খেয়ে চারটি অঙ্গ হারালেন গৃহবধু

তেলাপিয়া মাছ খেয়ে চারটি অঙ্গ হারালেন গৃহবধু

ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত তেলাপিয়া মাছ খেয়ে চারটি অঙ্গ হারান এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। লরা বারাজাস নামে এক ৪০ বছর বয়সী মহিলা তেলাপিয়া মাছ রান্না করেন। কিন্তু সে মাছ কম সিদ্ধ করে খায়। এতে লরা ওই তেলাপিয়ায় থাকা মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত হন।

নিউইয়র্ক পোস্টের খবর অনুযায়ী, লরাকে এক মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। অবশেষে প্রাণ বাঁচাতে গত বৃহস্পতিবার তার অস্ত্রোপচার করা হয়। এমনটাই দাবি করেছে তার বন্ধুদের অ্যাকাউন্ট। মিস বারজাসের বান্ধবী আনা মেসিনা বলেন, “আমাদের সবার জন্য খারাপ খবর।” ভয়ংকর খবর। এটা আমারা কখনোই আসা করিনি।

রান্না করা মাছ খেয়ে বড়জা অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় সান জোসের বাজার থেকে তিনি এই মাছটি কিনেছেন। বাসায় গিয়ে নিজেই রান্না করে। এখন তার জীবনই তচনচ হয়ে গেলো। তাকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। তাকে হাসপাতালে কোমায় রাখা হয়েছে। তার আঙ্গুল কালো হয়ে গেছে। পা কালো হয়ে গেছে। তার নিচের ঠোঁট কালো হয়ে গেছে। তার সারা শরীর ‘সেপসিস’-এর পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। সেপসিস এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করে না। তার কিডনিও বিকল।

মিস মেসিনা বলেন, বারাজাস ভিব্রিও ভালনিফিকাস নামক একটি বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত। এই ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সাধারণত সামুদ্রিক খাবার এবং সমুদ্রের পানিতে পাওয়া যায়। এর জন্য সামুদ্রিক খাবার সঠিকভাবে প্রস্তুত করা বা রান্না করা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় এই ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়।

ইউসিএসএফের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাতাশা স্পাউসড বলেন, এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত হওয়ার বিপদ যখন আপনি এটি দ্বারা দূষিত কোনো খাবার খান। এছাড়াও, আপনি যদি আপনার শরীরের কোথাও কাটা বা ট্যাটু করে থাকেন – যদি একটি ছোট ক্ষত থাকে এবং আপনি সমুদ্রের জল বা নোংরা জলে যান তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

About Babu

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *