গত বছর অনেকটা হঠাৎ করেই বাংলাদেশের বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাব এবং সংশ্লিষ্ট ৬জন বিশিষ্ট নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে সরকার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে, কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার ব্যর্থ অবস্থাতে রয়েছে। তবে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সরকার সর্বদা সজাগ রয়েছে। নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের উপর আরোপ হবে কিনা সে বিষয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞার আশ’ঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সোমবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। তাদের সাথে আমাদের ক্রমাগত সম্পৃক্ততা অব্যাহত রয়েছে। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমরা সে বিষয়ে কাজ করছি। এ কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে কেউ কেউ বেশি আগ্রহী হতে পারেন। আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় ঘোলা পানিতে মাছ ধরার উদ্যোগ নিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। তারা ৯-১০ ডিসেম্বর আরেকটি নিষেধাজ্ঞা আশা করছিল। সেজন্য তারা সেদিন জনসভা ডেকেছিল। তারা লবিস্টদের ওপর কতটা নির্ভরশীল সেটাই তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। বাংলাদেশে রাজনীতি বিদেশিদের সমর্থনে কখনো ছিল না, হবেও না। সাময়িক সুবিধা হতে পারে। কিন্তু এটা স্থায়ী হবে না। ওয়ান-ইলেভেনের পরবর্তী ঘটনা তারই প্রমাণ।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কোনো কারণে এ বছরও সরকারি সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আশ”ঙ্কা করছিল সরকার। এ কারণে মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক চিঠিতে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের সাথে মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্ক আগের তুলনায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ বেশি দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে হঠাৎ করে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের আগ্রহ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ঢাকা।