দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন দিন পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
২৫ পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আয়তন দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী। আর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন ১১ জন। ইতিমধ্যে সবাইকে ডেকে শপথের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নতুন সরকারে কে কোন মন্ত্রিত্ব পাবেন তা জানা যাবে দপ্তর বণ্টনের পর।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে ফোন পেয়েছেন যারা: আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে ফোন পেয়েছেন যারা: বেগম সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম টিটু।
এর আগে বুধবার সকালে সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল বিজয়ী সংসদ সদস্যের ২৯৮ জনের গেজেট প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয়লাভ করে। ৬২ জন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়েছেন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগের নেতা।
আর জাতীয় পার্টির আসন অর্ধেকের বেশি কমে দাঁড়িয়েছে ১১টিতে। আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি এবং কল্যাণ পার্টি একটি জয়ী হয়েছে। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।