বলিউড অভিনেতা সালমান খান এমন চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন যেখানে দেখা যায় তিনি তার খলনায়ককে বেধড়ক পিটিয়ে শান্ত করেন। যাইহোক, এই অভিনেতা যারা দরিদ্র তাদের প্রতি আবেগ প্রদর্শন করে থাকে এবং সেই কারনেই তিনি এবার একটি পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন যেটা শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে। ৫৫ বছর বয়সী এই জনপ্রিয় অভিনেতা সাম্প্রতিক সময়ে একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন যে তিনি একটি সিনেমা হল খুলতে যাচ্ছেন। অভিনেতা এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বেছে নিয়েছেন ছোট শহর। তিনি মুম্বাইয়ের মতো মেট্রোপলিটন শহরে করতে চাইছেন না কারন সেখানে রয়েছে বড় বড় সিনেমা হল রয়েছে।
সালমান খান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে পরিকল্পনা করছিলাম। যদি করোনা পরিস্থিতি না থাকতো, তাহলে এতদিনে পরিকল্পনা বাস্তবে পরিণত হতো। তিনি বলেন, খুব শিগগির সালমান টকিজ খুলতে চলেছি। তবে এইসব সিনেমা হল মুম্বাইয়ে নয় মফস্বল কিংবা বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে হবে। যাদের শহরে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য তাদের জন্য এই সিনেমা হল।
বলিউডের ভাইজান আরো জানান, থিয়েটার খোলার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই ছিল তার। আশা করা যায় খুব দ্রুতই শুরু করতে পারবেন তিনি তাঁর স্বপ্নের প্রোজেক্ট। সালমান বলেন, “এখনো কাজ চলছে। আমরা পরিকল্পনা করছিলাম, কিন্তু করোনা মহা’মা’রির জন্য সব বন্ধ করে দিতে হয়। ধীরে ধীরে আমরা শুরু করব ফের, একদিন ঠিকই খোলা হবে।”
নিজের নামে সিনেমা হলগুলো নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবনা রয়েছে সালমানের। মেট্রো সিটিগুলিতে খোলা হবে না থিয়েটার চেইন। মূলত শহরের বাইরের দিক, মফস্বল অঞ্চল যেখানে মানুষ থিয়েটারে ছবি দেখতে পারে না, সেখানেই হলগুলি খোলার ইচ্ছা রয়েছে ভাইজানের। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ছোট শহরে হলগুলি খোলার পরিকল্পনা ছিল আমাদের, যেখানে মানুষ থিয়েটারে ছবি দেখতে পারে না।”
প্রথমে মহারাষ্ট্র দিয়েই প্রোজেক্ট শুরু করবেন সালমান। ধীরে ধীরে আগামী ১০ বছরে অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পড়বে ‘সালমান টকিজ’। পুরো বিষয়টা খুব ধীরেসুস্থে, বুঝেশুনে এগোচ্ছেন সালমান।
মুম্বাই মিররের প্রতিবেদন অনুসারে, সালমান টকিজ থিয়েটারগুলি মুলত একটি চেইন আকারে হতে চলেছে যেখানে টিকিটগুলি থাকবে কর-মুক্ত এবং ভর্তুকিযুক্ত হারে পাওয়া যাবে এবং সুবিধাবঞ্চিত শি’/শুদের জন্য বিনামূল্যে। অভিনেতা তার পরিকল্পনাটি কার্যকর করতে এবং সিনেমা এবং মঞ্চায়নের বিষয়টিকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য বেশ কয়েকটি প্রযোজক, পরিবেশক এবং প্রদর্শকদের সাথে দেখা করেছিলেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, চেইনটি মহারাষ্ট্রে ফ্ল্যাগ অফ হওয়ার আশা করা হয়েছিল এবং পরবর্তী দশ বছরে অন্যান্য রাজ্যে প্রসারিত হবে।