বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মাথায় আত্মহনন করেছেন এক গৃহবধু। তবে এটি সত্যিই আত্মহনন কিনা সে বিষয় পুলিশ কোন মন্তব্য করেনি। প্রয়াত গৃহবধুর বাবা দাবি করেছেন যে, তার মেয়ের এই প্রয়ানের পিছনে রয়েছে প্রাণনাশের ঘটনা। এটি কোন আত্মহননের ঘটনা নয়। তবে প্রয়ানের শশুরবাড়ির দাবি এই আত্মহনন।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থেকে পূর্ণিমা সূত্রধর (১৮) নামে এক বধূর ঝুলন্ত নিথরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তার নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রয়াত পূর্ণিমা কালিহাতী উপজেলার কোশনা গ্রামের মনোরঞ্জন সূত্রধরের মেয়ে। ছয় মাস আগে দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের ছানু সূত্রধরের ছেলে নিলয় সূত্রধরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার স্বামীর দাবি, বিকেলে তার স্ত্রী গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহনন করেছে। অন্যদিকে পূর্ণিমার বাবা দাবি করেন, তার মেয়েকে তার স্বামী নিলয় ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করে প্রাণনাশের পর ঝুলিয়ে আত্মহননের নাটক মঞ্চস্থ করেছে।
তিনি আরও বলেন, স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে ঘটনার তিন দিন আগে পূর্ণিমা আমার বাড়িতে আসে। শুক্রবার স্বামী নিলয় এসে পূর্ণিমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। স্বামীর বাড়ি যাওয়ার সময় পূর্ণিমা বারবার বলছিলেন, বাবা, আমাকে সেখানে পাঠাবেন না। তারা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি বুঝিয়ে মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। দেলদুয়ার থানার এসআই মো. মামুন মিয়া জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ঘরের মেঝে থেকে শাড়ির কাপড়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর নিথরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় থানায় অপপ্রয়ানের মামলা হয়েছে। রোববার নিথরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে ঘটনাটি প্রাণনাশ নাকি আত্মহনন।
উল্লেখ্য, বিয়ে হয়েছে মাত্র ছয় মাস, তারই মধ্যে পারিবারিক ভাবে অশান্তিতে ছিলেন বলে ভুক্তভোগী প্রয়াত মৌসুমির পরিবার জানিয়েছেন। প্রয়ানের কয়েকদিন আগেই শশুরবাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে এসেছিলেন প্রয়াত মৌসুমী। তবে তার বাবার অনুরোধে আবার শশুরবাড়ীতে ফিরে যান। এই যাওয়াই মৌসুমীর জীবনের ইতি টানার কারন বলে মন্তব্য করেছেন মৌসুমীর বাবা।