প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক প্রবাসীর। তার সাথে অনেকদিন ধরেই এই প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে প্রেমিকাকে দেশে ফিরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতিও দিয়েছিলেন। তবে প্রবাসী প্রেমীক দেশে ফিরে আশার সাথে সাথেই তাকে তার পরিবার থেকে পছন্দ করা মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
আট বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরেছেন আতিক হাসান (৩০)। এক মাস আগে পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। কিন্তু বিদেশে থাকা অবস্থায় প্রেমিকাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আর এই প্রবাসী তার নতুন বউকে বাড়িতে রেখে প্রেমিকার বাড়িতে চলে যায়। তাও অনেক গভীর রাতে। তবে প্রেমিকার কাজ থেকে যেতে না চাইলে এলাকার লোকজন আতিককে পুলিশে সোপর্দ করে। বুধবার (২৭ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বিকেলে, তাকে একটি বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল যাতে বলা হয়েছিল যে তিনি তার বান্ধবীর সাথে আর সম্পর্কে থাকবেন না। এমনই ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দালে। স্থানীয়রা জানায়, আতিক প্রায় আট বছর সৌদি আরবে ছিলেন। জুনের শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরে কোরবানি ঈদের কয়েকদিন আগে নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে করে।
কনের এক আত্মীয় জানান, আতিক বেশ কিছু দিন ধরে তার স্ত্রীকে বলে আসছিলেন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এদিকে বুধবার রাত ১০টার দিকে তিনি চলে গেলেও গভীর রাত পর্যন্ত ফেরেননি। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী তসরা গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে আটকে রাখা হয় বলে জানা গেছে। তাই নববধূ সেখানে ছুটে গেল। অনেক চেষ্টা করেও স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে ক্ষুব্ধ নববধূ ফিরে আসেন। আতিকের স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নান্দাইল থানা থেকে হ্যাঁ। আবুল কালাম জানান, দুই পরিবারের সম্মতিতে আতিককে তার বান্ধবীর সঙ্গে কখনো যোগাযোগ না করার জন্য জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকাকালে এক নিজের দেশের এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রবাসী প্রেমিক আতিকের। সেই প্রেমের সুবাদে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্তও গ্রহন করেছিলেন। প্রবাস থেকে দেশে ফিরে আসলে প্রেমিকাকে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রবাসী আতিক। তবে দেশে ফেরা মাত্রই তাকে তার পরিবার থেকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই পারিবারিক বিয়েকে আতিক মেনে নিতে পারেনি।