জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্কিত পোস্ট করে আসছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তবে আগের সকল পোষ্টের তুলনায় তার বর্তমানে করা এই পোস্টটি সবথেকে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এই পোস্টে তিনি রেফারেন্স সহ লিখেছেন, আওয়ামী লীগাররা একটু সদয় হয়ে তা দেখিয়েছে। আপনার বাবা শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের সময় নারায়তাকবীরআল্লাহু আকবর বলে গেয়েছিলেন কিনা? সেটি নিচের ছবিতে মার্ক করে দেওয়া আছে।। যেখানে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে লেখা আছে।
জনতাকে জাগানোর জন্য বঙ্গবন্ধু নিজেই শ্লোগান দিয়েছিলেন: নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর; আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ, জাগো বাঙালি জাগো, জাগো বাঙালি জাগো, জয় বাংলা ইত্যাদি।
অবশ্য তারা যদি তাদের নতুন বাবা মোদিরেকে খুশি করতে তাদের আসল বাবার বক্তব্যকে অস্বীকার করতে চায় তাহলে আমার কিছু বলার নেই।
তার (পিনাকী)-এই পোস্টে বাংলাদেশের জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা যুগান্তরের একটি পোস্ট কে রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ্য করেছিলেন। সেই পোষ্টটি কে নিচে দেওয়া হল:-
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ আমাদের ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটি শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়; বাগান শুধু লক্ষ লক্ষ মানুষকেই একত্র করে না; ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ ও বিশ্ব। এই দিনের অর্থ অসীম। একাত্তরের বাঙালির যুদ্ধের কান্না। ৭ মার্চের ভাষণের চূড়ান্ত ও চলমান স্লোগান ছিল জয় বাংলা। এই স্লোগান বাঙালি চেতনার আগুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ৭ই মার্চ এবং জয় বাংলা ধ্বনির যুগপৎ গুরুত্ব স্পষ্ট রাখতে জাতীয় উদ্যোগ ও অনুশীলন প্রয়োজন। এই কাজ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। এটা রাষ্ট্রের কর্তব্য। জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র। বাঙালি সঞ্জীবনী বীজ মন্ত্র জয় বাংলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির বীজ মন্ত্রণালয়। শুধু ৭০-এর দশকে নয়, বঙ্গবন্ধু আরও আগেই জয় বাংলা স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন। শেখ মুজিব আঙুল ফুলে যাওয়া ধনী ব্যক্তির মতো আকস্মিক নেতা নন। তার রাজনৈতিক দর্শন স্বপ্নে পাওয়া তাবিজ নয়। অভিজাতদের একটি প্রাসাদিক সমাবেশ দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। তাদের রাজনীতি দীর্ঘ সংগ্রাম ও নিপীড়নের পরিকল্পিত আন্দোলন। দীর্ঘ জাগরণহীন ঘুম
একাত্তরের মার্চের প্রতিটি দিনই বাঙালির ইতিহাসে এক জ্বলন্ত অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টন ময়দানের জনসমুদ্রে ভেসে ওঠে জয় বাংলা স্লোগান। এই শ্লোগান বাঙালি দরবার থেকে জাগরণের শক্তি। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনে জয়নের লাঠি হিসেবে জয় বাংলা ছিল জীবন্ত অনুপ্রেরণা। আসলে জয় বাংলা ছিল বাঙালির বিবেকের আগুনের সমার্থক। ইয়াহিয়া ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন। প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি বাস্তবায়নে ৩ মার্চ পল্টনে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। সভা শেষে জয় বাংলা বাংলা গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। (দৈনিক ইত্তেফাক ০১/০৩/১৯৭১, সূত্র: প্রাগুক্ত)। জয় বাংলার জন্ম ছক, ০২/১৫/১৯৭১, সোমবারের দিকে একটু পিছনে তাকাই।
১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলা একাডেমির বড় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় ভাষা আন্দোলন স্মরণ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি আদায়ের জন্য আমরা রাজনীতি করি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা ক্ষমতা চাই না। আমরা দাবিতে ক্ষমতায় আসতে চাই। আমরা ক্ষমতায় এলে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করব। আমাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মধ্যেই নিহিত রয়েছে এদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি। তবে দাবি পূরণ না হলে আমরা ক্ষমতা ছাড়ব। ‘জয় বাংলা।’ (দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংগ্রাম-০২/১৬/১৯৭১; বাংলার ভয়েস, মোনায়েম সরকার সম্পাদিত, অহঙ্গুমি প্রকাশনী, ঢাকা প্রথম প্রকাশ ১৭ মার্চ ১৯৭১)।
ইতিহাসের কিছু অবিস্মরণীয় ঘটনা ১৭৭১ সালের জানুয়ারিতে ঘটেছিল। 3 জানুয়ারী রেসট্র্যাকের মাঠে একটি বিশাল সমাবেশ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু জনসভায় ভাষণ দেন। বক্তৃতায় তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানান। এই সভার প্ল্যাটফর্মটি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে তৈরি হয়েছিল। নৈসর্গিক নৌকার মাস্তুলে বাংলাদেশের মানচিত্র মুদ্রিত বঙ্গবন্ধু ”জয় বাংলা” পতাকা নেড়েছেন। জনতা উচ্চস্বরে ‘জয় বাংলা’ বলে চিৎকার করছিল। জনতাকে উৎসাহিত করতে বঙ্গবন্ধু নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেন: নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর; আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ; জাগো বাঙালি জাগো; বাঙালির জয় ইত্যাদি। উল্লেখ্য, ওই দিন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। সেই শপথের শেষ বাক্যটি ছিল: ‘আল্লাহ আমাদের সহায়, জয় বাংলা।’ (দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক পাকিস্তান; ৪ জানুয়ারী, ১৯৭১; দ্বিতীয় উৎস: বাংলাদেশী প্রবন্ধ, বক্তৃতা, বক্তব্য, উক্তি এবং সাক্ষাৎকার – শেখ মুজিবুর রহমান ; বঙ্গবন্ধু ললিতকলা একাডেমি, ঢাকা; প্রথম প্রকাশ; মার্চ ১৭, ২০১৭) এর আগে, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ‘নির্বাচন পিটিশন’ নামে একটি ইশতেহার প্রকাশ করে। ১ ডিসেম্বর, ১৯৭০ তারিখে প্রকাশিত হয়। সেই নির্বাচনী পিটিশনটি ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে শেষ হয়েছিল।
কিন্তু নির্বাচনী ইশতেহার কি জয় বাংলার স্লোগানের প্রথম দলিল? না; কিন্তু একটা জিনিস আমাদের স্মৃতিতে অস্পষ্ট। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শেখ মুজিবকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়। ছাত্ররা নেতাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে ঘোষণা করেন। ‘তিনি বলেন, বিকল্প পথ দেখাতে হবে না। ইসলাম বি সম্পন্ন যারা বলেন, তাদের ধাপ্পাবাবাজ আর বলা হয় না। এ জনসভায় তার ভাষণ শেষ করেন ‘জয় বাংলব এই প্রথম উচ্চারিত হয় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। উপস্থিত লক্ষ জনতা বিপুল উল্লাসভনি ও তালির মধ্য দিয়ে জয় বাংলা’ স্গানকে স্বাগত। (মিইয়, শেখ রাজনীতিকে সামনে এবং বাংলাদেশ; ইউটিভার্সিটি প্রেস লিমিড, ঢাকা)।
আর সেই বিজয় বাংলা’ বাংলা মুক্তির রণহুঙ্কার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
অনেক সুধী সদস্য, ‘ভাঙ্গার গান’ কাব্যের ‘পূর্ণ অভিনন্দন’ শীর্ষ মধ্য দিয়ে কবি কাজী ইসলাম ‘জয় বাংলা’ শব্দনি সূচনা করেন। ‘জয়প্রাপ্ত’, ‘বাংলার অহংকার’ থেকে ‘জয়দারীপুরের পার্টি’ বাংলা উদযাপন উপপ্রকাশের জন্য মাতৃভাষী তথ্য ঐতিহাসিক তথ্য। প্রকাশ প্রকাশ। স্বনামধন্য কবি, লেখকও ‘বাঙালির অহংকার’- বিষাক্ত মহামান্যশা, মাননীয় নেতা, প্রধানমন্ত্রী, এলাকা, জেলা প্রসক সহ সকল বাণী ও লিখতে একই তথ্য প্রকাশ। নীতি অমূলক নয়; তাই বলে তা ঐতিহাসিক- সত্য সন্দেহাতীতও নও তিনি জয় বংলা নজরুল থেকে গ্রহণ করেছেন। তার শাহাদাতের চারেরও বেশি সময় পরে দেখানো ‘অসমাপ্ত’ ‘কারগারের নাম’ বইটি এ ধরনের তথ্য নেই। দেশ যে জয় বাংলা’ স্লোগানের শব্দগুচ্ছ কভি থেকে হুবহু শব্দনি তা জোর বলা যায়। কারণ ‘অভিনন্দন’ শীর্ষক মান গুণকে কবিতাই তাতার হতে পারে। চারটি চরণ ধরছি:
‘জয় বাঙ্গলার পূর্ণচন্দ্র, জয় জয় আদি-অন্তরীণ,
জয় যুগে-যুগে-আসা-সেনা পু, জয় আদি-অন্তহ!ন
স্বগত ফরিদপুর,
একইসঙ্গে যে, কবির পূর্ণচন্দ্র এবং তাকে অভিনন্দন সূচক ‘বানান। বাঙ্গালী পূর্ণচন্দ্র দিল্লি, বোম্বে বামার হতেন তাহলে কবি ছন্দের ঠিক বলতে পারতেন- ‘জয় দিল্লির’ বা বোম্বের ’ বা ‘জয় বার্মার’ সন্দেহনিগুচ্ছ। কবিতার (মূলত গান হিসেবে রচিত) রচনাকাল ১৯২৪ সাল তার পাঁচ বছর প্রথম বিশ্ব সমারোহ। বৃটিশের সাম্রাজ্য ক্রম : ছোট হয়ে আসছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়
(১৯৩৯-১৯৪৫) আদালতজীর ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ছিল। স্বাধীন বাংলার আন্দোলন তখন ছিল না। ‘জয় বাংলা’ প্রতিপাদ্যও ছিল না। তবে জয় মোহাম্মদ, জয় কালি, জয় বাবা ভোলানাথ ইত্যাদি শব্দগুচ্ছ ছিল। যাহোক, বহরমপুর জেলে পূর্ণচন্দ্র দাস ও কাজী নজরুল ইসলামের রাজনীতি। সুখ জন্মে। সেইসূত্রে পূর্ণচন্দ্র প্রতীক পর বন্দি কালিপদ রায় চৌধুরীর কবি অভিনন্দন পত্র গণ কবিতা রচনা। ‘ফরিদপুর’ ও ‘মাদারীপুর মর্দ’ বলে কবি তাকে প্রশংসা করেছেন। . কাজী নজরুল ভারতবর্ষের প্রদেশ বাংলা ও ভাষার কবিতা। সেই অহঙ্কার ধারণ করেই তিনি ‘বাংলা পূর্ণচন্দ্র’কে জয়নি অভিনন্দন জানান- ‘জয় বাঙ্গলার পূর্ণচন্দ্র’। জয় শব্দটি পূর্ণচন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত; বাংলা-এর সাথে নয়। মোদ্দাকথা শব্দবন্ধটি ‘জয় বাংলা’ নয়; বাংলার পূর্ণচন্দ্রকে জ্ঞাপক- ‘জয় বাঙলার পূর্ণচন্দ্র’। জয় বাংলা- এর পরিবর্তনে জটিলতার বিষয় উল্লেখ করা নজরুল রচনা জয়বলী -১ খণ্ডে (বাংলা একাডেমি, ১৯৯৬) দেখা প্রতীক চরিতার্থ শব্দগুচ্ছ বাংলার নয়; ‘জয় বাঙলার’। আর বাংলার বীজমন্ত্রটি শুরু জয় বাংলা।
একাধারে একাডেমিক সমন্বয়ে মহাপরিচালক শামস খান লেখক- ‘তাহরিতি ও শান্তির বাঙ্গালী নির্বাচনের সামনের দিকে: বাংলা জয়; বাংলার জয়-অবিনাশী পঙ্ক্তিমালা। আলপঙ্ক্তি থাকলে আকস্মিকভাবে ‘বিজয় বাংলা’ স্লোগান সুবিধা পারতেন। ‘বাংলার’ আর ‘জয়’র মধ্যে কোনো কিছু আছে? সাধারণ নজরুলের বিশেষভাবে সহজী তারজয় বাংলার স্লোগানের জন্য। আমাদের উদ্ধৃত অর্থ ঠিক করা শব্দের ভিন্নতা আছে (বাংলার সব; আর গ্রুপ করেছেন ‘জয় বাংলা’) কিন্তু তার ‘ভাঙ্গার’ কাব্যগ্রীর ‘পূর্ণ অভিনন্দন’ কবিতায় হুবহু ‘জয় বাংলা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন ‘(কবি কবি)। নজরুল কবি নজরুল কবি, ও ‘জব বাংলা’ শামস খান, বাংলার অহংকার, প্রাক্তন। আমি মনে করি শামস খানও এসেছিলেন, সত্যচ্যুত করেছেন। কেননা নজরুলের অবিনাশী পট্টিগুচ্ছ না হলে গণমানুষের জন্য ‘জয়’ মহামন্ত্রটি পেতে না। বাংলার জয়; জয় বাংলা সমর্থক শব্দবন্ধ ভিন্নতা-ও সততয কিন্তু জনাব আপনি বললেন, পূর্ণ অভিনন্দন কবিতায় হুবহু হুবহু বাংলা’ শব্দটি ব্যবহার তা কিন্তু ঠিক নয়।
দ্বিরুক্তি শব্দ সংক্ষেপে বলি- নজরুল ‘জয় বাংলা’বলা বাঙলার পূর্ণচন্দ্রকে বলেছন যেমন লেখক, ‘জয় আদি-অন্তরীণ, জয় যুগে যুগে-সেনাপতি; ‘জয় আদি-অন্তহীন’। শামস খান কথিত ভিন্নতাই মনোরম উদ্ভাবন। স্বতন্ত্র। আমরা জানি, কবি-লেখক ও পরিবেশনার স্বতন্ত্রতা তাকে দেয়। জাতীয় বাংলাদেশ প্রার্থী মহাকাব্যের মহাকবি। পূর্বসূরিদের বিশেষ নজরুলের সমস্যাকে কেন্দ্র করে ‘জয় বাংলা’র সমন্বয়ে। মহাবীজ মন্ত্র উদ্ভাবন।
উল্লেখ্য, বিস্ময়করভাবে ঐতিহাসিক যে তথ্যটি মিলে যাচ্ছে তা হল বঙ্গবন্ধুর পবিত্র উচ্চারণে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের জন্মও ৭ মার্চ। তাই ৭ মার্চ ‘জাতীয় জয় বাংলা দিবস’ হলে ৩০ লাখ শহীদ ও আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে। ইতিহাসের দাবি পূরণ হবে। জয় বাংলা।
এই পোষ্টের পরে এক নেটিজেন তার মতামতে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর শ্লোগান দিয়েছেন সেটা জনতাকে উদ্দীপ্ত করার জন্য এবং তখন দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি সুতরাং এটা কারো ট্রেডমার্ক শ্লোগান ছিলো না কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই শ্লোগান পাকিস্তান পন্থীরা নিজেদের করে নিয়েছে আর তাঁর বিপক্ষে দাঁড় করিয়েছে জয় বাংলা শ্লোগানকে। এখানে সহজ ভাবে বোঝার বিষয় একটাই মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে নারায়ে তাকবীর যেই উদ্দিপনা নিয়ে বলা যেতো মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেই উদ্দিপনা মিলিয়ে গিয়েছে রাজাকারদের অপব্যবহার। আপামর জনগণ নিজেদের শ্লোগানে “জয় বাংলা” ই নিয়েছে।