বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির কারনে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি কমে আসায় ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। ফের নতুন ভেরিয়েন্টের প্রাদূর্ভাব ছড়িয়েছে অনেক দেশে, যার কারনে নতুন করে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশেও সম্প্রতি নতুন ভেরিয়েন্ট মিলেছে। তাই এই ধরনের পরিস্থিতিতে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বিষয়ে বড় ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার। সরকার চলমান এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে কিনা সে বিষয়েও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবে, এমনটাই জানিয়েছে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
সে জন্য আগের মতোই নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাতুয়াইল মৌসুমী ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভেরিয়েন্টের নতুন যে ধরন দেখা দিয়েছে পরিস্থিতি আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মনিটরিং করা হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মার্চ মাসের পর শ্রেণি পাঠদান শুরু করা হবে। এর আগ পর্যন্ত বর্তমান নিয়মে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে।
দীপু মনি আরও বলেন, নতুন বছর থেকে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং কার্যক্রম হিসেবে নতুন কারিকুলাম শুরু করা হবে। এ জন্য সারাদেশের ১০০টি স্কুলে এ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কমিয়ে ৬০টি স্কুল নির্বাচন করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন কারিকুলাম পড়ানো হবে।
তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কারিকুলাম পড়ানো সম্ভব নয়। এ কারণে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করা হবে। নতুন কারিকুলামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও ভৌগোলিক সব বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার, তবে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রনয়ন নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই মুহুর্তে চাপও দিতে চায় না সরকার। নতুন শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ওপর কতটা কার্যকর হবে সেটা পর্যবেক্ষন করার জন্য কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে নিয়ে নতুন শিক্ষাকারিকুলাম নিয়ে অনেকটা গবেষনামূলক পর্যবেক্ষন করবে সরকারের শিক্ষা বিভাগ। সরকার আশা করছে নতুন এই শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে অধিক দক্ষতা দেখাতে পারবে।