বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ নতুন পদ্ধতিতে নির্বাচন কার্য পরিচালান করছে। ইলেকট্রিক মেশিনের মাধ্যমে এই ভোট গ্রহনের কার্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পদ্দজতিতে ভোট কারচুপি জালিয়াতি রোধ সহ নির্ভূল ভাবে ভোট গননা করা সম্ভব। তেব দেশ জুড়ে এখনও এই কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে, যা সরাসরি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যক্ষ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সোমবার তার মন্ত্রণালয়ের কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের ভোট সরাসরি গণমাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটের পরও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ইভিএমে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে কূটনীতিকদের কাছে বার্তা পৌঁছেছে। ইভিএমে কারচুপির বিষয়ে পরাজিত প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রার্থীরা পরাজিত হলেই বলতে থাকেন। ইভিএমে নির্বাচন হলে কারচুপির কোনো সম্ভাবনা নেই। এজন্য এই পদ্ধতিটি বেশি গ্রহণযোগ্য। ভোটের সময় কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকতে পারে।
এটা শুধু আমাদের দেশেই হচ্ছে না। এই ত্রুটি সারা বিশ্বে ঘটে। এটা কোনো অভিযোগের ভিত্তি হতে পারে না। সব ইভিএম নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ড. তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার চাইলে সারা দেশে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারত, কিন্তু তা করছে না। কারণ ইভিএম একটি নতুন পদ্ধতি। যেকোনো নতুন পদ্ধতি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই এই সমস্যা রয়েছে। আমেরিকান ও ভারতের নির্বাচনেও কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে। সময়মতো সমস্যার সমাধান হবে। এখন সরকার চাইলেই দেশে ইভিএম চালু করতে পারবে না। সময়ের ব্যবধানে সমস্যা সমাধান হবে। প্রযুক্তিকে হ্যান্ডেল এবং ব্যবহার করার জন্য মানুষকে মানিয়ে নিতে হবে। ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ভারত সারা দেশে উপজেলা ও টাউনশিপ মার্কেট অবকাঠামো নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারত সরকার সবজি, মাছ, মাংস এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় বিক্রয় করে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ করতে চায়। এ বিষয়ে প্রস্তাব দিলে আমরা উদ্যোগ নেব।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই ইলেকট্রিক মেশিনের মাধ্যমে ভোটের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। শুধু তাই নয় সমগ্র দেশ জুড়ে এই ইলেকট্রনিক মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহনের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।