বর্তমান সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। মূলত এই নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের নির্বাচন কার্য পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। এরই সুবাদে দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন গঠনের জন্য। সম্প্রতি বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাথে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় এই দলটি রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে ৭ প্রস্তাব জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে চলমান সংলাপের তৃতীয় দিনে সাত প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে এসব প্রস্তাব দেন ন্যাপের নেতারা। ন্যাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেন। সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি স্বাধীন, কার্যকরী অগ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সাত দফা দাবি পেশ করেন।প্রস্তাবগুলোর উল্লেখযোগ্য হলো- সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা, ইসি গঠনে ক্ষেত্রে যোগ্য, দক্ষ, নির্মোহ, সৎ ও জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়োগ দেওয়া, জবাবদিহিমূলক নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। প্রেস সচিব জানান, রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে ন্যাপের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই সংলাপের আলোচনার মূল লক্ষ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি দক্ষ, শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রপ্রধান দেশের ইসি গঠনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সংলাপে অংশ নেওয়া ন্যাপের প্রতিনিধিরা হলেন-সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, কাজী সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আহমেদ খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পার্থসারথি চক্রবর্তী ও সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অনিল চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনায় অংশ নেন।
বর্তমান সময়ে এখনও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এই অনিয়মের জের ধরে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল গুলো।