Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নতুন নাম দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আবেদন, কী হলে নিবন্ধন পাবে না জানালেন ইসি আলমগীর

নতুন নাম দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আবেদন, কী হলে নিবন্ধন পাবে না জানালেন ইসি আলমগীর

নিবন্ধন হারানো এবং নির্বাচনে অযোগ্য হওয়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এখন নাম পরিবর্তন করে নতুন নিবন্ধন পাওয়ার জন্য ইসির কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। জামায়াতের নতুন নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি-বিডিপি। এর আগে জামায়াতের একটি বড় অংশ দলটি থেকে বেরিয়ে এসে এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি) নাম দিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি-বিডিপি বুধবার নির্বাচন কমিশনে ৫০ হাজার পৃষ্ঠার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান ও সাধারণ সম্পাদক মুহা. নিজামুল হক।

জানা গেছে, বিডিপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ময়মনসিংহে। এক সময় তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। পরে জামায়াতে যোগ দেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে নান্দালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময়ও তাকে জামায়াত নেতাদের সাথে দেখা গেছে। এবং সেক্রেটারি জেনারেল হলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক বিদেশবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমানে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে নিবন্ধনহীন হয়ে পড়া জামায়াতে ইসলামী নতুন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে আলোচনা রয়েছে। এ বিষয়ে ইসিতে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান বিডিপি সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোঃ আলমগীর বলেন, জামায়াতের কেউ যুদ্ধাপরাধী না হলে এবং তাদের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘ”র্ষিক না হলে তাদের নিবন্ধন পেতে কোনো বাধা নেই। শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে তাদের নিবন্ধন পেতেও বাধা নেই।’

জামায়াতে ইসলামীর নামে কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সুযোগ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, “আদালতের নির্দেশে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। কেউ নিবন্ধিত হতে চাইলে তাকে আবার নিবন্ধন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক গঠনতন্ত্র নিয়ে যদি কেউ আবেদন করে তাহলে কমিশন নিবন্ধন করবে না।

এছাড়াও কমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হ”/ত্যা’কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি, যাদের সাজা হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ নেই।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ১৯১৩ সালের যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে বিবেচিত হওয়ার পর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে আদালত। এরপর নিবন্ধন বাতিল অবস্থাতেই দলটি তাদের কার্যক্রম স্বল্প পরিসরে চালিয়ে যায়। কিন্তু নিবন্ধন হারানোর পর নির্বাচনে অংশ নিতে না পরার কারনে পুনরায় দলটির নতুন নাম দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিকট আবেদনপত্র জমা দিল। ধারণা করা হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে দলটি।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *