সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রশ্ন তুলেছেন, নতুন দলের বিশাল আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস কী? এক লক্ষ মানুষের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বিপুল পরিমাণ টাকা লাগে, সেই অর্থ কোথা থেকে এলো? এটি তার কাছে একটি মৌলিক প্রশ্ন।
তিনি মনে করেন, এই টাকা অবশ্যই কেউ না কেউ দিয়েছে—কিন্তু কারা? সাধারণ জনগণ নাকি কোনো বড় ব্যবসায়ী বা প্রভাবশালী কেউ এই অর্থ দিয়েছে? তিনি স্পষ্টভাবে জানতে চান, নতুন দলের সঙ্গে কারা জড়িত। যদি কোনো অনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাদের সহায়তা করে থাকে এবং তারা তা গ্রহণ করে, তাহলে তিনি সেই দলের প্রতি আগ্রহী নন। বেসরকারি টেলিভিশনের একটি টকশোতে তিনি এই বিষয়টি উত্থাপন করেন।
তিনি আরও বলেন, নাহিদ ইসলাম পদত্যাগের পর তার আর্থিক হিসাব প্রকাশ করেছেন, যা প্রশংসনীয়। নাহিদ দায়িত্ব নেওয়ার সময় ও শেষ করার পর তার অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ অর্থ ছিল, সেটি খোলামেলা জানিয়েছেন। এই স্বচ্ছতা তিনি নতুন দলের ভেতরেও দেখতে চান।
নতুন দলের প্রতি জনগণের আশা-প্রত্যাশা থাকলেও, তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের বড় সমস্যার উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা মনে করত, কেবল তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, অন্য কোনো মতামতের মূল্য নেই। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়ন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন—সব কিছুর কৃতিত্ব নিজেরাই দাবি করত। নতুন দল যেন এমন সংকীর্ণ মনোভাব পরিহার করে, এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।