সাকিব-আল-হাসান বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে একটি অনন্য নাম। তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খেতাব নিজের নামের পাশে যুক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি শুধু ক্রিকেট অঙ্গনেই নন। তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার বেশ কয়েকটি ব্যবসা রয়েছে। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ও নিযুক্ত রয়েছেন। তবে তিনি ক্রিকেটের পর নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে নিযুক্ত করবেন বলে তার শুভাকাঙ্খীরা মনে করেন।
বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের মুকুট দীর্ঘদিন ধরে রাখা সাকিবই কি না ক্রিকেট ছেড়ে চাকরিতে যোগ দিলেন!
বুধবার (৪ জানুয়ারি) গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এদিন বেলা ১১টায় তিনি কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এসে সিইও হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি একদিনের জন্য এই দায়িত্ব নেন।
মূলত গালফ অয়েলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন সাকিব আল হাসান। এই অভিনব আয়োজন মূলত কোম্পানির প্রচারের জন্য। এ সময় তার অনুভূতি জানতে চাইলে সাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, খুব ভালো লাগছে। আমি প্রথমবারের মতো এমন দায়িত্বশীল পদে এসেছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ এসেছে, এই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠা একটি দুর্দান্ত মজা। আমি এই ধরনের চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি, ভালো কাজের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।
ভবিষ্যতে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়ার স্বপ্ন সত্যিই আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, এখন পর্যন্ত তার স্বপ্ন ক্রিকেট নিয়ে। এটা শেষ হলে, আমি আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করব।
সিইও হিসেবে তার প্রথম কাজ কী ছিল জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, আমি অম্লান দাকে (অম্লান মিত্র, সিইও গালফ অয়েল বাংলাদেশ) ফা”/য়ার করলাম। এটা বলা কঠিন. এ ধরনের পদে কাজ করতে চাইলে আগে থেকেই কাজ বিশ্লেষণ করতে হবে। আসলে, এই ধরনের একটি কোম্পানিতে, সকলের মতামত নিয়ে কাজগুলো করা হয়। তাই আমিও সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেব।
সাকিবের কাছে কেন এমন দায়িত্ব হস্তান্তর করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে গাল্ফ ওয়েল বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অম্লান মিত্র বলেন, আমি একদিনের অব্যাহতি পেয়েছি। দলের সিইও হিসেবে সাকিব রোজই মাঠে নামেন। তো একদিন এই অবস্থানে বসে দেখুক, এখানে কেমন চাপ আছে। এটি একটি আইডিয়া।
তিনি বলেন, গত চার বছর ধরে সাকিব আমাদের কোম্পানির একজন সদস্য। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের মতো অনেক দুর্যোগ সত্ত্বেও আমরা অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। তিনি (সাকিব) আমাদের সৌভাগ্যের প্রতীক। তিনি আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও।’
তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘আমাদের এখানকার এই অফিসটি নতুন চালু করা হয়েছে। তবে সাকিব আল হাসান এর আগে এই অফিসে আসেননি। আমাদের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছিল, সাকিব আল হাসান আমাদের নতুন অফিসে ঘুরে যাক। মাস খানেক আগে আমাদের এই অফিসটি চালু করা হয়েছে। তখন তিনি এখানে ছিলেন না।’ সাকিব-আল-হাসান অফিস পরিদর্শনের মাধ্যমে সকল কর্মীদের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন।