গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। যার জন্য ‘সারদা সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষে গত ১৯ আগস্ট এর নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিট করেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক খালিদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজম ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। তার বিচার কার্যক্রম এখনও চলছে। দল হিসেবে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
আওয়ামী লীগকে কীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, আমরা সরকারের জায়গা থেকে একক সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। এসব জাতীয় ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হবে। সব রাজনৈতিক দল সম্মত হলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ সাধারণত রাজনৈতিক, সাংবিধানিক এবং আইনগত প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে সংবিধান বা বিশেষ আইন প্রণয়ন করতে হবে। যদি কোনো দল দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করে বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তাহলে আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সেই দলকে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।
এছাড়া যদি কোনো দল চরমপন্থা বা সন্ত্রাসে জড়িত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হতে পারে। অপরাধ প্রমাণিত হলে দল নিষিদ্ধ করা হতে পারে। এবং রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম যদি গণতন্ত্রের বিপরীতে যায় বা নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে নির্বাচন কমিশন সেই দলকে অবৈধ ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে পারে।
এছাড়া কোনো দলের কার্যক্রম যদি দেশের আইন বা সংবিধানের পরিপন্থী হয়, তাহলে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং নিষেধাজ্ঞা, যেমন জাতিসংঘ বা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রভাবের কারণে কোনো সরকার রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।