বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ( Central Bank ) হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। যুদ্ধের পর পরেই প্রতিষ্ঠিত করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ( Bangladesh Bank ) প্রধানকে গভর্নর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশ অন্যান্য সকল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রন করে থাকেন এবং তার সাথে নির্ধারণ করে থাকে সুদের হার। অন্যান্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ( Bangladesh Bank ) কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে থাকে। সম্প্রতি নতুন করে সুদের হার নির্ধারণ করলেন বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নীতিমালায় সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতিমালায় (রেপো সুদের হার) ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই হারে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে।
রোববার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিন অনুষ্ঠিত মুদ্রানীতি কমিটির ৫৪তম বৈঠকে রেপো সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদের হার বর্তমান ৪.৭৫ ভাগ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে শতকরা ৫ ভাগে পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
এদিকে রিভার্স রেপো সুদ হার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৪ ভাগে অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন ব্যাংক রেট রোববার (২৯ মে) থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই হারে ঋণ দেয়, যা ব্যাংকিং খাতে মূল নীতিনির্ধারণী সুদের হার হিসেবে পরিচিত।
প্রায় ২ বছর পর বাংলাদেশ ব্যাংক এই হার সংশোধন করল। ২০২০ সালে জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পলিসি রেট ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪ দশমিক ৭৫ করেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ গ্রহণের পরিমাণও কমতে পারে।
প্রসঙ্গত, সার্বিক দিক পর্যালোচনা করেই বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার নির্ধারণ করে থাকেন। সাধারণ জনগনের প্রদেও সামর্থের মধ্যে রেখেই সুদের হার বাড়ানো হয়। তবে সুদের হার ব্যাংক ভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে কিন্তু এক্ষেত্রে তেমন একটা অসুবিধা হয় না। সুদের হার বেশি হলে গ্রাহকরা কিছুটা বিব্রতবোধ করেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা হারেই অন্যান্য ব্যাংককে টাকা নিতে হবে।